ধানের চারার তীব্র সংকটে গাইবান্ধার কৃষক

চলতি বছর বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় ২ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ২৭ কোটি টাকার। চারার অভাবে এখনো ১৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো যায়নি।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

বন্যায় গাইবান্ধায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধানের চারার তীব্র সংকটে পড়েছেন কৃষক। চারা না পাওয়ায় এখনো আমন লাগানো যায়নি জেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে। জেলার হাট-বাজারে চারার আমদানি থাকলেও দাম অনেক বেশি। চড়াদামে চারা কিনতে গিয়ে এক প্রকার দিশেহারা কৃষক।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারন অফিস বলছে, চলতি বছর বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় ২ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ২৭ কোটি টাকার। চারার অভাবে এখনো ১৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো যায়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লেংগাবাজারের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ধারদেনা করে সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে প্রতি পোন বেছন (চারা) ৫০০ টাকা দরে ছয় পোন বেছন সংগ্রহ করে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। বেছন অভাবে এখনো দুই বিঘা জমিতে চারা লাগাতে পারিনি। ফুলছড়ি উপজেলার কৃষক আমজাদ মিয়া বলেন, চারার দাম বেশি হওয়ায় চারা না কিনে বাড়ি ফেরত এসেছি।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, জেলায় সরকারিভাবে ৪২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যা দিয়ে ৯৩৩ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো যাবে। অচিরেই চারা বিতরণ করা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন