|| সারাবেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ||
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরী গ্রামের সুতাং নদীর ব্রিজের পাশে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল দুই মাস আগে। কিন্তু টানা দুই দিনের মাঝারি বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে উন্নয়ন প্রকল্প ভেসে গেছে। ব্রিজের আশপাশের ব্লকগুলোতেও বেশ বড় বড় ফাটল ধরে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
এই কাজে কী পরিমান দূর্নীতি হয়েছে বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি এলাকার উদ্দীপনাময় তরুণ যুবসমাজ। কাজ শেষে অনেকেই এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে তুলনা করেছেন লন্ডন আমেরিকার সাথে। কিন্তু প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এমওকে ফাউন্ডেশন’।
জানা যায়, প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাসহ ১ কোটি টাকার এই কাজটি পেয়েছে শায়েস্তাগঞ্জের ঠিকাদার মখলিছ আহমেদ। কাজটি পাওয়ার পরে তিনি সাব কন্ট্রাক্টে কালিশিরী গ্রামের কাদির মিয়া নামে একজনে কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা যায়। শুধুমাত্র ব্রিজের আশপাশের ব্লক বসানোর জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা সাব ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা সাব ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্লক ধ্বসে পড়ার খবর আমাদের কাছে এসেছে। আজই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় কাজটি শুরু করবে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, হয়তবা কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজটি ভালভাবে শেষ না করা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে বিল পরিশোধ করব না বলে জানান তিনি ।
চচুনারুঘাট উপজেলা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার গোলাম সৈকত বলেন, “এই বিষয়টি আমি তদারকি করছি। তবে ব্লক ধ্বসে পড়েনি। মাঝেমধ্যে সমান্য ফাটল ধরেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইটি দ্রুত মেরামত করে দিবে।
এ বিষয় কথা হয় চুনারুঘাট উপজেলা ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজুর সাথে তিনি বলেন,প্রকল্প তদারকি করা আমার কাজ না। আমাদের কাজ হলো উন্নয়ন প্রকল্প পাশ করিয়ে নিয়ে আসা। কাজ ভাল হচ্ছে না, খারাপ হচ্ছে, এই বিষয় গুলো ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা ভাল বুঝেন। তবে আমার ইউনিয়নে কোন ২ নাম্বারি কাজ হতে দেব না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই কাজটি পুনরায় করে দিতে হবে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার সম্ভব হয় নি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।