দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন পরিষদ সদস্যরা

নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে ৪শ’ থেকে ৫শ টাকা, প্রত্যায়নপত্র দিতে ৫০ টাকা, ভূমিহীন সনদ দিতে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা নেন তিনি। ট্রেড লাইসেন্সের ফিয়ের টাকাসহ যাবতীয় রাজস্ব রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট ||

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বর্মনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছেন পরিষদের সকল  সদস্য। বৃহস্পতিবার ১লা এপ্রিল লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি),স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) এবং উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। প্রস্তাবে সই করেছেন পরিষদের ৮টি ওয়ার্ডের সব কজন সদস্য। এদের মধ্যে তিন জন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত।

ইউপি সদস্যরা জানান, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে ৪শ’ থেকে ৫শ টাকা, প্রত্যায়নপত্র দিতে ৫০ টাকা, ভূমিহীন সনদ দিতে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা নেন তিনি। ট্রেড লাইসেন্সের ফিয়ের টাকাসহ যাবতীয় রাজস্ব রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ মোতাবেক পরিষদ গঠিত হওয়ার পর প্রথম সভার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করার কথা থাকলেও এখনো তিনি তা করেননি। এমনকি চেয়ারম্যান নারী ইউপি সদস্যদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজও করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার রবিউল হাসান বলেন, ‘দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বর্মন, কোনো মন্তব্য করেননি।

সংবাদ সারাদিন