ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণমানে পরিবর্তন কেন্দ্র হবে বিভাগীয় শহরে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ক, খ, গ এবং ঘ এই চারটি ইউনিটে ৪০ নাম্বার এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন) এবং ৪০ নাম্বার লিখিত অনুষ্ঠিত হবে। আর বাকি ২০ নাম্বার থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর। এছাড়া এবারে করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া হবে বিভাগীয় শহরগুলোতে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ||

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ক, খ, গ এবং ঘ এই চারটি ইউনিটে ৪০ নাম্বার এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন) এবং ৪০ নাম্বার লিখিত অনুষ্ঠিত হবে। আর বাকি ২০ নাম্বার থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর। এছাড়া এবারে করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া হবে বিভাগীয় শহরগুলোতে।

সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ‘ক’ ও ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এমসিকিউ, লিখিত এবং এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর মোট ১০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা হবে। সময় ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা।

এর আগে গত ২০শে অক্টোবর ডিনস কমিটির এক বৈঠকে পরীক্ষার মানবণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে রেজাল্টের উপর ৮০ নম্বরের পরিবর্তে ২০ নম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৫০ করা হয়। সবমিলিয়ে ১০০ নম্বরের উপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে সোমবার অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক বৈঠকে প্রশ্নের মানবণ্টনে ফের পরিবর্তন আনা হয়। সেখানে এমসিকিউতে ৪০ এবং লিখিত পরীক্ষার ৪০ নম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের স্কোর থেকে ২০ নম্বর নেয়ার বিষয়টি আগের মতোই রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানোর বিষয়ে কথা উঠলেও তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এর আগে গত অক্টোবর মাসের ডিনস কমিটির এক সভায় বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই বিভাগীয় শহরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। বরিশাল, রংপুর বা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরাও সেখানকার কোনো কেন্দ্রেই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। অর্থাৎ বিভাগীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন