টেকনাফে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে যাত্রী বোঝাই সিএনজি এবং বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে পিতা-পুত্র ও অপর এক শিশুসহ ৩জন নিহত এবং সিএনজি চালকসহ ৫জন আহত হয়েছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার) ||

টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে যাত্রী বোঝাই সিএনজি এবং বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে পিতা-পুত্র ও অপর এক শিশুসহ ৩জন নিহত এবং সিএনজি চালকসহ ৫জন আহত হয়েছে।

বুধবার ১০ই ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল দক্ষিণ মাথা নাইট্টার টেক পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী যাত্রী বোঝাই পালকি পরিবহন (কক্সবাজার-জ-১১-০২৩৮) এবং হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা হতে কক্সবাজারগামী সিএনজি (কক্সবাজার-থ-১১-৮৭৪৬)এর মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।  এতে ঘটনাস্থলে হ্নীলা মরিচ্যাঘোনার সিএনজি যাত্রী ছালামত উল্লাহ(৫৫), ছালামত উল্লাহর পুত্র নজরুল (৩০) ঘটনাস্থলে মারা যায়।

এই ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত ও রক্তাক্তদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পালংখালী গয়ালমারা এমএসএফ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুলের ৭/৮মাসের এক মেয়ে শিশু মারা যায় বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া গয়ালমারা হাসপাতাল হতে হ্নীলা পানখালী শিয়াইল্যা মোরার নজরুলের স্ত্রী রোকেয়া ও শিশু মেয়ে, কামরুলের স্ত্রী নুর নাহার ও ১০/১১ বছরের মেয়ে এবং সিএনজি চালক আলী আকবর পাড়ার আবুল মঞ্জুরের পুত্র নুরুল মোস্তফাসহ ৫জন নারী-শিশু ও পুরুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নিহত নজরুলের শিশু মেয়ে এবং কামরুলের কিশোরী মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।

এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আব্দুল আলিম জানান,দূঘর্টনার খবর পেয়ে সকাল ১০টারদিকে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণের পর বাসটি জিম্মায় নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় শিশুসহ ৩জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংবাদ সারাদিন