|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||
বাগেরহাট পৌরসভার দশানী এলাকায় টিকটক ও লাইকি এ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা নিয়ে কলহের জেরে শিক্ষার্থী শ্রাবনি আক্তার সুমা(২০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করে তার স্বামী আব্দুল্লাহ নাহিন শান্ত (২৫) থানায় আত্মসমর্পন করেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দশানী এলাকার বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে বাগেরহাট মর্গে নিহতের ময়না তদন্ত হয়েছে। নিহত সুমা বাগেরহাট শহরের সিংড়াই গ্রামের বাসিন্দা করিম বক্সের মেয়ে। তিনি বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। তার স্বামী শান্ত দশানী এলাকার বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসি বলেন, শান্ত ঢাকার একটি পোশাক ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে তার চাকরি চলে গেলে সে বাড়ীতে ফিরে আসে। বাড়ীতে আসার কিছুদিন পর শান্ত ও তার স্ত্রীর সুমার মধ্যে টিকটক করা নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে সুমা রাগ করে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। বাড়ীতে কেউ না থাকার এদিন বিকালে শান্ত ফোন করে তার স্ত্রীকে বাড়ীতে ডেকে নেয়। পরেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এসময় শান্ত তার স্ত্রী সুমাকে মুখে কিলঘুসি দিয়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করে।
নিহতের বড় ভাই মো. রাসেল বলেন, শান্ত আমার বোনকে হত্যা করবে জানিয়ে আমার বোন আমাকে বিকাল ৫টার দিকে মেসেজ দেয়। কিন্তু মেসেজটি আমি রাতে দেখে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি শান্ত আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমি আমার বোন হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যাকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। সে হত্যার দায় ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
