|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালপুর ||
জেলা সদরের ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে হামলা, ভাংচুর ও ডাক্তারদের নির্যাতনের প্রতিবাদে জামালপুরের সকল রাষ্ট্রিয় হাসপাতালের বহির্বিভাগের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার ২৭ শে ডিসেম্বর সকাল থেকে জেলার সব সরকারি হাসপাতালে জরুরি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও করোনা রোগী সেবা ছাড়া সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারন রোগিদের দুর্ভোগ চরমে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল কুমার সাহার সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনা তদন্তে সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, চিকিৎসাধীন রোগী ও করোনা রোগী সেবা ছাড়া সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকবে। গঠিত কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবে। একই সময় চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা থেকে
কর্মবিরতি পালন করছেন।
সরেজমিনে রোববার সকালে দেখা গেছে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. মোশায়ের উল ইসলাম জানান, হামলা, ভাংচুর ও ডাক্তারদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি সেবা ছাড়া বহির্বিভাগ এবং প্রাইভেট ক্লিনিকের সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে একজন নারী রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনের সাথে ডাক্তার ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ডাক্তার, রোগীর স্বজনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।