|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) ||
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে চলতি রবি মৌসুমে অনেকেই গমের আবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে ভালো ফলন ও দাম পেলে ধান চাষের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলেও মনে করছেন তারা।
জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের কৃষক নূরুল হুদা জানান, কয়েক দফা বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার জমিতে আগাম জাতের গমের আবাদ করেছি। ধানের বাজার ও কৃষিকাজে খরচের পরিমাণ বেশি থাকায় প্রতি বছরই লোকসান গুণতে হয়। তাই এবার ১০ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই গম ঘরে তোলা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বারি-২৮ জাতের গম ভালো ফলন হয়। এই জাতের গম প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ পর্যন্ত হয়। বাজারে দামও ভালো। এখন প্রতি মণ গম ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘায় গম ফলাতে খরচ হয় দেড় হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। গম চাষে সার ও কীটনাশক কম লাগে। একটু সেচ দিলেই ভালো ফলন হয়। কম খরচে স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়।
কৃষক নূরুল হুদার দাবি আমাদের গম যদি সরকারি খাদ্য গুদামে কিনে নিত তাহলে আরও বেশি লাভ হত। এবং আগামীতে অনেকেই গম চাষে আগ্রহী হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাশরেফুল আলম জানান, জামালগঞ্জে এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছেন। কৃষিতে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষকরা নতুন নতুন বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এতে কৃষিতে যেমন বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে তেমনি কৃষক লাভবান হচ্ছে। এবং আমাদের কৃষি লাভজনক কৃষিতে পরিণত হচ্ছে।