|| সারাবেলা প্রতিনিধি, হাওরাঞ্চল (সুনামগঞ্জ) ||
জামালগঞ্জে চার বিশিষ্টজনকে সংবর্ধিত করলো স্থানীয় কমরেড প্রসূন কান্তি বরুণ রায় স্মৃতি পরিষদ। শুক্রবার সকাল ১১টায় কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে বরুণ কান্তি রায়ের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই স্মরণ সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি পরিষদের সভাপতি বিদ্যুৎ জ্যোতি চক্রবর্ত্তী।
উপজেলার ৪ বিশিষ্ট জনকে সম্মাননা স্মারক, শ্রদ্ধার্ঘ্য পত্র ও উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। এদের মধ্যে শিক্ষা ও সমাজসেবায় মো. গুল আহম্মেদ, স্বচ্ছ রাজনীতি ও সমাজসেবায় কমরেড অজিত লায় রায়, চিকিৎসা ও শিক্ষায় সমরেন্দ্র নারায়ণ দাস মুকুল ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মরহুম আবু তাহেরকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় গুণী এই চারজনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করে বক্তৃতা করেন আয়োজনের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ। স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংবর্ধিত সমরেন্দ্র নারায়ণ দাস মুকুল।
স্মৃতি পরিষদের সহ সভাপতি মো. আলী আমজাদের স্বাগত বক্তব্যে সূচিত অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধার্ঘ্যপত্র পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ ও উপজেলা সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্মৃতি পরিষদের সহ সভাপতি আবু তাহের তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. বিষ্ণুপদ সূত্রধর, উপজেলা খেলাঘর সভাপতি আলী আক্কাছ মুরাদ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম আল আমীন।
বক্তারা কমরেড প্রসূন কান্তি রায় বরুণের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, সৎ ও নিরহংকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কারণে জামালগঞ্জবাসী আজ গর্বিত। কমরেড বরুণ রায়ের আদর্শগত চেতনাকে ধারণ করতে পারলে আগামী প্রজন্ম উপকৃত হবে। বরুণ রায়ের আদর্শ চেতনাকে লালন করে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি পরিষদ যে গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করেছে সেটা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা এই সংগঠনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।