ছোটভাইয়ের ফ্রিজে মাংস রাখতে গিয়ে প্রাণ গেলো বড়ভাইয়ের

আব্দুল জলিল (৩৮) এর দোকানের ফ্রিজে কোরবানীর মাংস রাখতে যায় তার আপন ভাই খলিল। এসময় আব্দুল জলিল মাংস রাখতে রাজি না হওয়ায় খলিলের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে বড় ভাই নইমুদ্দিন এসে মাংস রাখতে না দেয়ায় আব্দুল জলিলকে গালাগালি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে রাখা কাঠ দিয়ে নইমদ্দিনকে উপর্যপুরি আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ছোট ভাইয়ের দোকানের ফ্রিজে ঈদের মাংস রাখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানদার ছোট ভাইয়ের হাতে থাকা কাঠের আঘাতে নইমুদ্দিন (৫৫) নামের এক বড় ভাই নিহত হয়েছে।

বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের টাপুর চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মর্জিনা খাতুন রৌমারী থানায় ঘাতক চাচাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ঘাতক আব্দুল জলিলকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টাপুর চর গ্রামে আব্দুল জলিল (৩৮) এর দোকানের ফ্রিজে কোরবানীর মাংস রাখতে যায় তার আপন ভাই খলিল। এসময় আব্দুল জলিল মাংস রাখতে রাজি না হওয়ায় খলিলের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে বড় ভাই নইমুদ্দিন এসে মাংস রাখতে না দেয়ায় আব্দুল জলিলকে গালাগালি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে রাখা কাঠ দিয়ে নইমদ্দিনকে উপর্যপুরি আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত নইমুদ্দিন ঘাতক আব্দুল জলিলের সৎভাই। তার সাথে পুর্ব থেকেই জমাজমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মন্তাছের বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মেয়ে তার বাবা হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ১নম্বর আসামী ঘাতক আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন