|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
সুনামগঞ্জে ছাতক শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে ইছামতি রুটে আবারও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১১মাস ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে ভারত থেকে ফের চুনাপাথর আমদানি শুরু করা হলে তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মাসের শেষ দিকে ভারত থেকে পূরোদমে চুনাপাথর আমদানি শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে করোনার অজুহাতে চেলা ও ইছামতি রুটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিলো চুনাপাথর আমদানি। যার ফলে স্থানীয় প্রায় শতাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েন। বেকার হয়ে পড়েন সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক হাজার বারকি শ্রমিক। সম্প্রতি চেলা সীমান্ত দিয়ে চুনাপাথর আমদানি শুরু হলেও ইছামতি রুটে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ ছিলো।চুনাপাথর আমাদানি বন্ধ থাকায় সরকারের নির্ধারিত বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরন হবে কি না, এনিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে চেলা ও ইছামতি রুটে ও চুনাপাথর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
ছাতক শুল্ক ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২০-২১ইং অর্থবছরে চেলা রুটে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও ইছামতি রুটে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ মোট ৩টি রুটে রাজস্ব আদায়ে মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে এবার সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরনে বড় বাঁধা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ছাতক লাইম ষ্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হাই আজাদ ও ব্যবসায়ী ইলিয়াছ আলী বলেন, ভারত থেকে চুনাপাথর আমাদানি বন্ধ থাকায় এখানে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছেন বারকি শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীরাও ব্যাংকের লোনসহ বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ছাতক শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, মূলত মহামারি করোনার প্রভাবেই চুনাপাধর আমদানীতে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে। চুনাপাথর আমদানীতে আমাদের কোন জটিলতা নেই। এখন ভারতের অভ্যন্তরে রাস্তা খারাপের কারনে ২৭শে জানুয়ারির আগে ভারত থেকে চুনাপাথর রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা চুনাপাথর রফতানি করতে পারবেন না বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।