ছলচাতুরি আর কৌশলের মাদ্রাসা শিক্ষক তিনি!

মাওলানা শহিদুল ইসলামের ফাজিল ও কামিল সনদ বাতিল ও উত্তোলিত বেতন ভাতা ফেরতের নির্দেশ এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। কিন্তু আজ অবধি বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি শিক্ষা কর্মকর্তা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

মাদ্রাসা সুপার হতে কত কিই না করছেন সুন্দরগঞ্জের জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা শহিদুল ইসলাম। তার অনিয়ম, ছলচাতুরি আর কৌশল এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে। এই মুহূর্তে তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার।

তবে এই পদে তিনি স্থির থাকছেন না। নিজের সুবিধা করতে তিনি কখনো সহ-সুপার আবার কখনো ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে মাদ্রাসার বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করেন। আবার নিজে সহ সুপার হয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে মাওলানা সাইদুর রহমানের নামও প্রচার করছেন তিনি।

মাওলানা শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পর কি কারণে সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা সাইদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব দিলেন। কি উদেশ্যে হাসিলের জন্য মাওলানা শহিদুল ইসলামের এ কৌশল।

এলাকাবাসী বলেন, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের পদ দখল করার জন্য মাওলানা শহিদুল ইসলাম এমন সব কৌশল নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে শহিদুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল স্তরের ক্বারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছুটি ছাড়াই নিয়মিত ছাত্র হিসেবে ১৯৮৭ সালে ফাজিল ও ১৯৯৩ সালে কামিল পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য ও ইউনিয়ন শাখার গুরুত্বপূর্ন পদে থাকার কারণে সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে মাওলানা শহিদুল ইসলামকে ২০০৪ সালে বিধি পরিপন্থি ভাবে সহ-সুপার পদে নিয়োগ দেয় মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ।

২০১৮ সালে সুপারের পদ শুণ্য হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে মাদ্রাসাসংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীদের যোগসাজসে সুপার হওয়ার দৌঁড়ে নামেন তিনি।। এরইমধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষা সনদ অর্জনের বিষয়টিও জানতে পারে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ।

মাওলানা শহিদুল ইসলামের ফাজিল ও কামিল সনদ বাতিল ও উত্তোলিত বেতন ভাতা ফেরতের নির্দেশ এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। কিন্তু আজ অবধি বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি শিক্ষা কর্মকর্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন