চোরাচালান বেড়েছে তাহিরপুর সীমান্তে আটক ১

সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে সীমান্তের চাঁরাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে আনছেন মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কয়লা ও আতপ চালসহ অস্ত্রশস্ত্রও।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আবারও বেড়েছে চোরাচালান। সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে সীমান্তের চাঁরাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে আনছেন মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কয়লা ও আতপ চালসহ অস্ত্রশস্ত্রও।

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ বিজিব’র অভিযানে সম্প্রতি ১ টন চোরাই কয়লা ও ৪৯ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে একজনকে। আটক ব্যক্তির নাম খোকন মিয়া(৩০)।সে উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার ১৪ই জানুয়ারি দুপুরে তাকে পুলিশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বলছেন, মাঝে মধ্যেই এমন দুই একজন আটক বা গ্রেফতার হলেও সোর্স নামধারী আসল কারবারিদের কাউকেই আটক করা যায় না।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার ১৩ই জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে সীমান্তের লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া, লেংড়া বাবুল ও ইয়াবা কালামের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়লা ও ইয়াবা পাচার করা হয়। পরে মাছের বরফের সাথে লুকিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে মোটর সাইকেল করে খোকন মিয়া চানপুর যাওয়ার পথে বিজিবির চ্যালেঞ্জে পড়ে।

অপরদিকে রজনী লাইন ও পাহাড়তলী এলাকা দিয়ে চোরাচালানি আব্দুল হান্নান, মহিবুর, নজরুল ও তাজুল ইসলাম ভারত থেকে প্রায় ৫ টন চোরাইকয়লা পাচার করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে শুল্কস্টেশনের বারুদ খানা এলাকা থেকে ১ টন কয়লা জব্দ করে বিজিবি। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশন দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে আতপ চাল পাচার করছে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও রমজান মিয়া। তাদের পাচার করা ৫০ কেজি ওজনের ৭০ বস্তা অবৈধ চাল সম্প্রতি আটক করেছিল বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।

এঘটনার পর কিছুদিন ভারত থেকে চাল পাচার বন্ধ থাকলেও আবার তা শুরু হয়েছে। এছাড়া লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল, নুরু মিয়া, শহিদ মিয়াগং প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লাসহ মদ, গাঁজা, ইয়াবা, নাসিরউদ্দিন বিড়ি পাচার করছে। আর এই সীমান্ত দিয়ে পাচার করা চোরাইকয়লা নিয়ে সম্প্রতি বিজিবি ও চোরাচালানীদের মধ্যে হয়েছিল বিরাট সংঘর্ষ ও গোলাগুলি। এঘটনায় থানায় মামলাও করা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে। তারপরও সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার না করার কারণে পুরো সীমান্ত এলাকার চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না।

 

সংবাদ সারাদিন