|| সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম থেকে ||
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বিতরণে বিলম্ব করায় নষ্ট হয়ে গেছে ভিজিডির চাল ও কৃষকদের জন্য বরাদ্দ পাট অধিদফতরের দেয়া সার। চেয়ারম্যানের গাফিলতি ও দুই মাস ধরে চাবি নিজের কাছে রাখায় সার ও ভিজিডির চাল গোডাউনেই পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ ইউপি সদস্যদের।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম স্থগিত ছিল। দুই মাস ধরে চেয়ারম্যান চাবি নিজের কাছে রাখায় গোডাউনে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে ভিজিডির চাল ও পাট অধিদফতরের দেয়া কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সার। সঠিক সময়ে বিতরণ না করা প্রায় চল্লিশ বস্তা সার এবং প্রায় ত্রিশ বস্তা ভিজিডির চাল নষ্ট হয়ে গেছে।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, পাট বীজ বপনের সময় পাট অধিদফতর থেকে কৃষকদের জন্য পাটের বীজ আসে। সেই বীজ বিতরণের কয়েক দিন পর আবার সার আসে। কিন্তু এ সার বিতরণ না করে চেয়ারম্যান গোডাউনে রেখে দেন। এরপর থেকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন। এখন পাট কেটে জলাশয়ে পচানো শুরু হলেও সেসব বিতরণ করা হয়নি।
গত রোববার ভিজিডির চাল বিতরণের জন্য গোডাউনের তালা খুললে সেখানে সারের বস্তা নষ্ট দেখা যায়। বস্তার ভেতরে থাকা সব সার শক্ত হয়েছে। প্রায় ত্রিশ বস্তার মতো চালও নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। দুই মাস ধরে চেয়ারম্যান নিজের কাছে চাবি রাখায় গোডাউনে তালা লাগানো থাকায় আমরা গোডাউন খুলতে না পারায় চাল ও সার বিতরণ করতেও পারিনি। ফলে গোডাউনে থাকা চল্লিশ প্যাকেট ইউরিয়া সার ও ৩০ বস্তা চাল নষ্ট হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান চাবি পাঠিয়ে দিলে রোববার (১১ জুলাই) চাবি নিয়ে এসে গোডাউনের তালা খুলে দেখা যায় সারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং চালের বস্তাগুলো পচে গেছে।
রিলিফ অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, বৃষ্টির পানি পড়ে সার ও চালগুলো নষ্ট হয়েছে। গতকাল ভিজিডির চাল বিতরণকালে সেখানে উপস্থিত হলে তা দেখতে পাই। চালগুলো মে মাসের, সেগুলো গোডাউনে ঢোকানো হয়েছে জুন মাসে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসার সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, আমি বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।