চাঁন্দেরবাগ ডাকাতিয়া সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম চাঁন্দেরবাগ। জেলার নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রামের ডাকাতিয়া নদী ও এর শাখা

|| মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কুমিল্লা থেকে ||

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম চাঁন্দেরবাগ। জেলার নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রামের ডাকাতিয়া নদী ও এর শাখা খাল গ্রামবাসীকে বিচ্ছিন্ন করায় একটি দ্বীপের মধ্যে তাদের বসবাস ছিল। গ্রামবাসীকে নৌকায় করে নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রামে যেতে হত। গ্রামটির নাঙ্গলকোট অংশে এলজিইডির অধীনে একটি সেতু নির্মাণ তাদের জীবনধারা বদলে দিয়েছে। নৌকায় করে তাদেরকে আর পারাপার হতে হবে না।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে সেতু নির্মাণে চাঁন্দেরবাগ গ্রামবাসীর স্বপ্ন পূরণে তাদের মধ্যে খুশির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীর ১ম সপ্তাহে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রামের উৎসুক জনতা ও দর্শনার্থীরা সেতুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন।

নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের পিপড্ডা সংলগ্ন চাঁন্দেরবাগ ডাকাতিয়া সেতুটি সরকারি অর্থায়নে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সেতুটি নির্মাণের ফলে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। বর্তমানে অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে সেতুটি। সেতুটির কারণে অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এলাকার চারপাশে। সেতুটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। সেতুটিতে এসে সেলফিও তুলছেন অনেকে। আমাদের এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিছে চাঁন্দেরবাগ ডাকাতিয়া সেতুটি। তাই প্রতিদিনই নামছে হাজারো মানুষের ঢল। প্রতিদিনই মিলছে মিলন মেলা, গড়ে উঠেছে পর্যটনের নতুন দিগন্ত হিসেবে।

সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দুই পারের মানুষ একসাথে মিলেমিশে থাকা, একসাথে কাজ করার অনেক সুবিধা পেয়েছেন এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করার ফলে। ভবিষ্যতে হয়তো সেতুটি অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে ঘোষিত হতে পারে- এমনটি ধারণা এলাকাবাসীর। 

সংবাদ সারাদিন