|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ||
নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদ বিস্ফোরণে নিহত শিশু জুবায়েরের বাবা জুলহাস বেপারী মারা গেছেন। রোববার ৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রুবার রাতে বাবা ছেলে একসাথেই এশার নামাজ আদায় করেছিলেন বাইতুস সালাত জামে মসজিদে। কিন্ত মুহুর্তেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায় বিস্ফোরনে। ওইদিন রাত ১২ টার দিকে মারা যায় ৭ বছরের শিশু জুবায়ের।
সন্তানের লাশ দাফন করতে গতকাল শনিবার গ্রামের বাড়ি গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর গ্রামে নিয়ে গেছেন রাহিমা বেগম। সন্তানের শোক না ফুরাতেই স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে দিশেহারা রাহিমা বেগম। এদিকে নিহত জুলহাসের লাশ পটুয়াখালী নিয়ে যাচ্ছেন রাহিমার দেবর।
জুবায়েরের বাবা-মা দুজনেই পোশাক শ্রমিক। রাহিমা কাজ করতেন মডেল গার্মেন্ট ও জুলহাস কাজ করতেন খাজা গার্মেন্টে। অভাবের সংসার সামলাতে দুজনই দিন-রাত পরিশ্রম করতেন একটু ভালভাবে চলবার জন্য। কিন্তু সব স্বপ্ন মুছে গেল মুহুর্তেই।
ফতুল্লার তল্লা সর্দারপাড়া এলাকায় স্ত্রী রাহিমা বেগম ও ছেলে জুবায়েরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন জুলহাস বেপারী। ঘটনার সপ্তাহ কয়েক আগে গ্রাম থেকে ছেলে জুবায়ের নারায়ণগঞ্জ আসে পড়াশুনা করবার জন্য ।স্কুলে ভর্তি হলেও করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ালেখা হয়নি জুবায়েরের।
শুক্রবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জনেরও বেশি মুসুল্লি দগ্ধ হন। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান , নামাজ চলার সময়ে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে । মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এক ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরের কয়েকটি স্থানে প্রচুর পানি জমে ছিল। এসব পানিতে রক্ত মিশে লাল হয়ে যায় পানি। আশপাশের লোকজন ছুটাছুটি করে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ঝাঁপিয়ে পরে।