গোপালগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর যত অভিযোগ

তিনটি বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি তারা চুক্তিপত্রের কোন শর্ত রক্ষা করেননি। তাদের কাছে বার বার হিসাবপত্র বা লভ্যাংশ চেয়েছি; কিন্তু কোনকিছুই তারা আমলে নেয়নি। বরং আমাকে বাদ দিয়ে এবং এস এম ব্রিক্স এর নাম পরিবর্তন করে নতুন চুক্তিপত্র করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ ||

গোপালগঞ্জে এক ইউপি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিনিয়োগ ফেরৎ না দেয়া এবং মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন ঢাকার এস এম ব্রিক্স এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।

শুক্রবার দুপুর ১২ টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে মামা-শ্বশুড় বাড়িতে এ সংবাদ-সম্মেলন করেন এই ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকায় ব্যবসার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০১৭ সালে আমি উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল গাজীর সঙ্গে এস এম ব্রিক্স নামে একটি ইটভাটার অংশীদারী ব্যবসা শুরু করি। এক বছর পর আমাদের ওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে আসেন একই গ্রামের দাউদুর রহমানের ছেলে মারুফ হোসেন। এই ব্যবসায় আমার একার বিনিয়োগ করি আড়াই কোটি টাকারও বেশি। সে সঙ্গে ২০১৮ সালে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী আমার ৪০ শতাংশ, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীর ৪০ শতাংশ এবং মারুফ হোসেনের ২০ শতাংশ।

এরপর তিনটি বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি তারা চুক্তিপত্রের কোন শর্ত রক্ষা করেননি। তাদের কাছে বার বার হিসাবপত্র বা লভ্যাংশ চেয়েছি; কিন্তু কোনকিছুই তারা আমলে নেয়নি। বরং আমাকে বাদ দিয়ে এবং এস এম ব্রিক্স এর নাম পরিবর্তন করে নতুন চুক্তিপত্র করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।

নানাভাবে চেষ্টা করে এসবের কোন সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমি আদালতে শরণাপন্ন হই। অথচ আমারই দেয়া সই করা ব্লাঙ্ক চেকে নিজেদের মনগড়া টাকার অংক বসিয়ে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই আমার সঙ্গে চরম প্রতারণার এসব অভিযোগ জানাতে আমি সংবাদ-সম্মেলনের আশ্রয় নিয়েছি।

সংবাদ সারাদিন