গার্মেন্টস খোলার খবরে কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাটে যাত্রীদের ঢল

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে  রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে চিলমারী ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। লকডাউন ঘোষনা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই অনায়সে চলছে নৌযান। নৌকা চলাচল করলেও লকডাউনের ফাঁদে পড়ে ৩/৪ গুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট কর্তপক্ষ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে  রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে চিলমারী ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। লকডাউন ঘোষনা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই অনায়সে চলছে নৌযান। নৌকা চলাচল করলেও লকডাউনের ফাঁদে পড়ে ৩/৪ গুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট কর্তপক্ষ।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, চিলমারী উপজেলার রমনা ঘাট থেকে রৌমারী ও রাজীবপুর নৌকা চলাচল অব্যাহত রয়েছে। লকডাউনে বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই নৌকা চলাচল অব্যাহত রেখেছে ঘাট কর্তপক্ষ।

নৌযাত্রী মিলন, আশরাফুল, চাঁন মিয়া বলেন, গার্মেন্টস খোলার কারনে আমাদের চিলমারী হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। নৌকায় আমাদের কাছ থেকে নিয়েছে ৪ গুন।

আরো অনেক যাত্রী জানান, ঘাট কর্তৃপক্ষ কৌশলে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলে হেনস্তা করতেও ছাড়ছে না ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকেরা। চলাচলকারী নৌকাগুলোতে যাত্রীদের ঠাসাঠাসি উপচে পড়া ভীড় দেখা গেলেও ঘাট কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করছেন না।

চিলমারী নৌঘাটের ইজারাদার বলেন, লকডাউনের কারণে চলাচলকারী নৌকাগুলোতে তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। কম যাত্রীতে নৌকা যাতায়াতে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হলে তেল ও মাঝিদের মজুরি দিতেই টানাপোড়নে পড়তে হয়। সে কারণে ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। লকডাউন শেষ হলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তখন নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হবে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান  বলেন, লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি তবে মৌখিক শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সারাদিন