গাইবান্ধায় গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন ॥ স্বজনদের ওপর হামলা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নিপা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে এসিড নিক্ষেপে আবার কেউ বা বলছে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিপার পিত্রালয়ের স্বজনদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নিপা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে এসিড নিক্ষেপে আবার কেউ বা বলছে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিপার পিত্রালয়ের স্বজনদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার ১০ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদপুর (প্রধানপাড়া) গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাজু মিয়াকে লাঞ্ছিত করাসহ নিপার বাবার বাড়ির লোকজনকে লাঠিপেটা ও চরথাপ্পরের শিকার হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের নান্টু মিয়ার মেয়ে নিপা বেগমকে একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদপুর (প্রধানপাড়া) গ্রামের রানা মিয়ার ছেলে মোমিন মিয়ার সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয়। সংসার জীবনের একপর্যায়ে প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর নিপাকে নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর আবার বাড়িতে আনা হয় নিপাকে। এরপর নিপার পিতা-মাতা দেখতে পায় নিপার কোমরের নিচে ঝলসে যাওয়া বিশাল ক্ষতের চিহ্ন। বাধ্য হয়ে আবার গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নিপাকে। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিপা বেগমের মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ আনা হয় স্বামী মোমিনের বাড়িতে। বুধবার দুপুরে পর্যন্ত এ মরদেহ নিয়ে শুরু নানা গুঞ্জন। দুপুরের দিকে নিপার পিত্রালয়ের লোকজন মোমিনের বাড়িতে গেলে, সেখানে মারপিটের শিকার হয় তারা। সেই সঙ্গে মরদেহ নিয়ে চলছিল দর কষাকষি। এনিয়েও চলে উভয়পক্ষের উত্তেজনা।

এদিকে, নিপার পিতা নান্টু মিয়া জানান, মেয়ের কোমরের নিচে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলছে দিয়েছে মোমিন ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি। এ ঘটনায় মত্যু হয়েছে নিপার।

অপরদিকে, মোমিন ও তার পিতা রানা মিয়া বলেন, প্রায় ১৫ দিন আগে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয় নিপা। এরপর থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যায় নিপা। কোন এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন