সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গাইবান্ধায় অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার গড়ে দিল এসকেএস ফাউন্ডেশন। এই জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আমেরিকা প্রবাসী মা ও ছেলের শরীরে। তাদের সংস্পর্শে¯আসা আরও ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর পজিটিভ পাওয়া যায়। গাইবান্ধায় ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওযায় প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে।
এবিষয়ে এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাবলিক রিলেশন সমন্বয়কারী মো. আশরাফুল আলম বলেন, জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির উদ্যোগে এবং সংস্থার নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটনের নির্দেশনায় অতি স্বল্প সময়ে প্রস্তুত করা এই আইসোলেশন সেন্টারে রোগি এবং ডাক্তারের আবাসন ব্যবস্থা, খাদ্য সরবরাহ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও অনুকুল পরিবেশ বজায় রাখাসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করবে এসকেএস ফাউন্ডেশন।
গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনা আইসোলেশনে রোগি ভর্তি থাকায় ভয়ে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতামুলক কাজ করছে স্থানীয় এস.কে.এস ফাউন্ডেশন। সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাত্র ৩ দিনে গাইবান্ধার ধানঘড়া আনছার ভিডিপি প্রশিক্ষণ সেন্টারে এসকেএস ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত করা হয়েছে করোনা আইসোলেশন সেন্টার।
আগামী দিনগুলোতে কী হবে সেই দু:শ্চিন্তার ছাপ সবার চোখেমুখে। এরইমধ্যে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের আইসোলেশনে ৩ জন ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ১ জন করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগির চিকিৎসা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সার্বক্ষনিক তদারকিতে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি।
