|| সারাবেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ও চট্টগ্রামের নগরীর আলোচিত সিআরবি ডাবল মার্ডারের চার্জশিটভুক্ত আসামি সাইফুল আলম লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আদালত রোববার লিমনের উপস্থিতিতে শুনানির আদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার ৬ই নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এলাকার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সিআরবি ডাবল মার্ডার ছাড়াও সাইফুল আলম লিমন বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও রয়েছে। সহযোগি সজল দাশের কাছে পাওয়া বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মামলাটি নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হলেও মামলার তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ই অক্টোবর চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি মোক্তারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় লিমন উপস্থিতি না থাকলেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির ডিবি দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আদালতে হামলার ঘটনা সম্পর্কে তথ্য জানতে লিমনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি ও গ্যাং নিয়ন্ত্রণেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সজল দাশ (২৩) নামের আরও এক সহযোগীও রয়েছে লিমেনের। যার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে।’
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটাও লিমনের জানিয়ে উপ কমিশনার বলেন ‘জিজ্ঞাসাবাদে সজল দাশ বলেছে তাকে লিমনই পিস্তলটা রাখতে দিয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই কোতোয়ালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অন্য অভিযোগ গুলোর বিষয়েও আমরা তদন্ত করছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪শে জুন সিআরবি সাত রাস্তার সামনে যুবলীগের বিতর্কিত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও সেসময়ের ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে দ্বিতীয় প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সেসময়ও গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন লিমন। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে অস্ত্র ও গুলিসহ লিমনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব-৭।