|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||
মানুষ ও অর্থ পাচারে সাজাপ্রাপ্ত কাজি শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর শুণ্য আসনটিতে প্রার্থী হতে ইতোমধ্যেই দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানুষ ও অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তার আসনে উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রার্থী হতে চাইছেন এমন অনেকেই এলাকায় আসা-যাওয়া শুরু করেছেন।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদ পাপুলের সদস্যপদ খারিজ করবার পরপরই উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে লবিং শুরু করেছেন।
সোমবার ২২শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করায় সংসদীয় এই আসনটি শূন্য হয়ে গেছে। ফলে এখন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বাসিন্দা ও রাজনীতিকরা আসনটির উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, কবে তফসিল ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাপুলের আসন শূন্য ও সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন ঘিরে এরইমধ্যে এলাকায় আসা-যাওয়া শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও এর বাইরের রাজনীতিকরা। যারা এই আসনটিতে প্রার্থী হতে চাইছেন তাদের মধ্যে জনবিচ্ছিন্ন বলে পরিচিত বেশ কয়েকজন নেতাও নেতাও রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অন্তত ডজনখানেক নেতার অনুসারীরা আগাম প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন। ‘প্রিয় নেতার’ রঙিন ছবিসহ পোস্টার বানিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন।
এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনের রশীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা প্রচার চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে ওই নেতাদের পোস্টার-ফেস্টুনও।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন তার সমর্থকরা। গেল নির্বাচনেও তিনি এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। খায়ের ভূঁইয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম আর মাসুদ ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠুও এই আসনের এমপি হতে চান।