|| উপজেলা প্রতিনিধি, সদর (জামালপুর) ||
করোনাদুর্গতদের জন্য দেওয়া রাষ্ট্রের সরকারি খাদ্যসহায়তার চাল কালোবাজারীর অভিযোগে মামলার প্রায় দেড় মাস পর গ্রেফতার হলেন জামালপুরের ইসলামপুরের ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ অভি
তবে ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন মিয়া বলেন, “আসামী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। সুস্থ হলেই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
ইসলামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, গেল ১৮ ও ১৯শে মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে চালানো অভিযানে উপজেলার গুঠাইল বাজারের ব্যবসায়ী নন্দু মিয়ার গুদাম থেকে ১৪ হাজার ১শ’ কেজি রাষ্ট্রিয় সহায়তার চাল উদ্ধার করা হয়।
এসব চাল কালোবাজারে কিনে বেশী মুনাফার জন্য মজুদ করার অপরাধে ইসলামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হান্নান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে ১৯শে মে নন্দু মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন, মোশাররফ হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেন।
এই মামলায় গত ২৮শে মে বিকেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনার সংকটময় সময়ে কর্মহীন দুস্থ্যদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল অবৈধভাবে মজুদ করায় মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হলেও তাকে আদালতে সোপর্দ না করে অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে ইসলামপুর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোয়াজ্জেম হোসেন হাসপাতালের ২ নম্বর কেবিনে রয়েছেন। তার ছবি নিতে চাইলে হাসপাতালের নিরাপত্তাজনিত কারণে ছবি তুলতে দেননি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের।
তিনি বলেন, ২৮শে মে সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানা পুলিশ তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। তার বুকে ব্যথা ছিল। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। দুই একদিনের ভেতর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রিয় সহায়তার চাল অবৈধভাবে মজুদের মামলায় গ্রেফতার এবং তাকে আদালতে সোপর্দ না করে হাসপাতালে রাখার বিষয়টি নিয়ে ইসলামপুরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে ইসলামপুর সার্কেলে এএসপি সুমন মিয়া বলেন, “গ্রেফতার আসামী মোয়াজ্জেম হোসেন হার্ট এবং ডায়াবেটিকস এর রোগী হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়টি আদালতকে লিখিত জানানো হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।