|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারের পলক(শান্তিপুর) গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম খুনের উপযুক্ত বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভমিছিল করেছে স্থানীয় হাজারো মানুষ। গত ১৭ই জানুয়ারী সকালে সাচনাবাজার ইউনিয়নের পলক(শান্তিপুর) গ্রামের মাঠে কিশোরদের ব্যাডমিন্টন খেলা ও বিদ্যুতবিলের পাওনা ৫০ টাকা চাওয়ায় কাশেমের সঙ্গে একই গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে শাহানুর মিয়া, তার ভাই লালসাদ, মৃত আজর আলীর ছেলে ইসরাইল মিয়া, আবনুর, ইসমাইল গংদের কথা কাটাকাটি হয়।
ঐদিনই সন্ধ্যার পর শাহানুর লালসাদ গংদের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, ও রামদা নিয়ে কৃষক আবুল কাশেমের কাশেমের ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এসময়ে কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেগম, ছেলে বিল্লাল, হেলাল মিয়া, মেয়ের ঘরের দুই নাতনী সাদিয়া ও নাদিয়াকেও কুপিয়ে জখম করে। আহতদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কাশেমসহ ৪ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে ৬দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গত ২৩শে জানুয়ারি মারা যান কাশেম। এছাড়া নিহতের স্ত্রী মালেকা বেগম, ছেলে বিল্লাল মিয়া ও হেলাল মিয়া শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে পারবেন কি না তা বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
এরআগে ১৮ই জানুয়ারি নিহতের ভাতিজা মোবারক হোসেন বাদি হয়ে পুলকগ্রামের হামলাকারী শাহানুর, তার ভাই লালসাদ, পিতা ইসরাইল, চাচা ইসমাইল, আবনুরসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাতসহ মোট ১৮জনকে আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। একজন জামিনে রয়েছেন। অন্যরা পালিয়ে।
মানববন্ধনে এমন খুনের সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বক্তৃতা করেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহীদ মিয়া, সাচনাবাজার উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, সাচনাবাজার ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া, ক্রীড়াশিক্ষক মো. আক্তার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদ আল আজাদ, আবুল কামাল আজাদ, মাষ্টার
মো. আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ আলী কালা মিয়া, সুলেমান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য মো. সফর আলী, নিহতের সন্তান বিজিবির সদস্য মো. আল আমীন ও আসাদ উল্ল্যাহ।
বক্তারা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের কাছে জোর দাবী জানান।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল সাচনাবাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।