কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ অব্যাহত

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার বাস্তবায়নে নদ-নদী ভাঙন রোধে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকার। গত-১০-০৮-২০২১খ্রিঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ৬৯২কোটি ৬৮লাখ টাকায় দুধকুমর নদী ভাঙন রোধে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও মাদারগঞ্জ-ভিতরবন্দ রোডে ৯৫মিটার সেতু অনুমোদন হয়েছে। চলমান প্রকল্পসমূহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কাজ বিধি মোতাবেক নদীর ডান বামতীর সংরক্ষণ ও নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের সবশেষ তথ্যমতে কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যের হার ৭০দশমিক ৮ভাগ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও জিঞ্জিরাম-এ পাঁচ আন্তঃনদ-নদীসহ মোট ১৬নদ-নদীর প্রতিটিই কমবেশি ভাঙন প্রবণ।

করোনা মহামারি সময়েও একনেকের চলমান ১টি প্রকল্প ৫৯৫কোটি টাকায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর বাম-ডানতীর সংরক্ষণ কাজ সোনাইকাজি, বান্টুরঘাট, মোঘলবাসা, সারডোপ, ভোগডাঙ্গা, হিমেরকুঠি সহ বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে নদী ভাঙন রোধ হয়েছে এবং যথাসময়ে কাজ সমাপ্ত হবে।

অপরদিকে ৩৭৯কোটি ২৩লাখ টাকায় ১টি প্রকল্পে ব্রহ্মপুত্র নদীর বাম-ডানতীরে ভাঙন রোধে চিলমারী, উলিপুরে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙন রোধে কাজ অব্যাহত রয়েছে। ২টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে এবং একনেকে ৩০২কোটি টাকা বরাদ্দে চিলমারী, উলিপুরসহ রৌমারী, রাজিবপুরে ৪৭৯কোটি টাকা। প্রকল্পসমূহ জুন ২০২৩খ্রিঃ সমাপ্ত হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শেষ হলে বিভিন্ন স্থাপনা ও কৃষি জমি নদ-নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

স্থানীয়রা বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ডান-বামতীর নদীতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় ভাঙনের কবল থেকে অনেক সড়ক, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান ও জনবসতি রক্ষা পাবে। জমিতে ফসল ভালো হবে। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানাই।

কুড়িগ্রাম ৪আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর নদী ভাঙনে কারণে এ জেলায় হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। জমি ও সম্পদ, বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় একনেকের প্রকল্পের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ভাঙন অনেকটা কমেছে এবং প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শেষ হলে বিভিন্ন স্থাপনা ও কৃষি জমি নদ-নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর ডান বামতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণের কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি। করোনা মহামারি সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

 

সংবাদ সারাদিন