|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ||
কুষ্টিয়ার বড়বাজার এলাকায় একটি কসমেটিকসের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ২৩শে ফেব্রুয়ারী বিকেল সোয়া চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সোয়া দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বড়বাজার এলাকায় বড়বাজার জামে মসজিদ গলিতে তিনতলা একটি ভবনের দোতলা ও তিনতলায় কসমেটিকসের গুদাম। নিচে ২০ থেকে ২৫টি ছোট ছোট দোকান রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যবসায়ীর গুদামে প্রথমে আগুন লাগে।
৪টা ২৩ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে যান। ধোঁয়া বেড়ে যাওয়ায় কুমারখালী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সোয়া দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম নিচে দোকানে বসে সিসি ক্যামেরায় তাঁর গুদামে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এরপর দ্রুত ভবন থেকে লোকজন বাইরে বের হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রথমে ঘটনাস্থলে গেলেও পানি শেষ হয়ে যায়। আশপাশের পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা না থানায় ওই ইউনিট ফিরে গিয়ে আবার পানি নিয়ে আসে।
গুদামমালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনিসহ আরও কয়েকজনের গুদামে অন্তত দেড় কোটি টাকার প্রসাধনসামগ্রী ছিল। বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তিনি বলতে পারেননি।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যায় তাঁদের দল। সরু গলি হওয়ায় ভবনের কাছে পানিবাহী গাড়ি যেতে পারেনি। দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে সেখানে পানি নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গুদামের ভেতরে পারফিউম, নেইলপলিশ, গ্যাস লাইটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য মজুত ছিল। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে একটানা কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভবনটি ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।