|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা ||
রেলওয়ের কুমিল্লা অংশে রয়েছে ৭১টি রেলক্রসিং, এর মধ্যে ৫৮টিই অনিরাপদ ও অবৈধ। এদিকে এসব রেলক্রসিংয়ে ত্রুটিপূর্ণ ব্যারিয়ারে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। ক্রসিংয়ে দুই পাশে দুটি ব্যারিয়ার থাকায় রং সাইড দিয়ে গাড়ি প্রবেশ করছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গত বুধবার ৩০শে ডিসেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে রং সাইড দিয়ে প্রবেশ করে দুর্ঘটনায় পড়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। এতে অটোরিকশার যাত্রী বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পর গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে ব্যারিয়ার ফেলা হয়েছে। ট্রেন মাত্র ১০ হাত দূরে। তবু রং সাইড দিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। শেষ মুহুর্তে গেটম্যান সামনে দাঁড়ালে যানবাহন থেমে যায়।
সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭১টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং ১৩টি। বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে রয়েছে বাগমারা, বিজয়পুর-১, বিজয়পুর-২, পদুয়ার বাজার, ভার্সিটি গেট, কোটবাড়ী, ধর্মপুর, শাসনগাছা, মুড়াপাড়া, বাওনগাঁও, শশীদল, শালনদী ইত্যাদি। এদিকে কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে অননুমোদিত ক্রসিংয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে দায় সারছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুটি লাকসামের চন্দনা ও তপইয়া।
লাকসামের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা লতিফুর রহমান খোকন বলেন, ‘চন্দনা ও তপইয়ার রেলক্রসিংয়ে সাইনবোর্ড দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব রেলক্রসিংগুলোতে গেট স্থাপন করা প্রয়োজন।’ নয়তো যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী (পথ বিভাগ) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৫৮টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ১৩টি বৈধ ক্রসিংয়ের মধ্যে রেলওয়ের গেটম্যান আছেন। নতুন প্রকল্পের আওতায় আরও ১৫টি অবৈধ রেলক্রসিংয়ে জনবল নিয়োগ করা হবে। গুরুত্ব বিবেচনায় ধারাবাহিকভাবে সব রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার নির্মাণ ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মর্কতা।
তিনি আরও বলেন, আগে ক্রসিংয়ের দুই পাশে দুটি ব্যারিয়ার দেওয়া হতো। এখন থেকে দুই পাশে দুটি করে চারটি ব্যারিয়ার দেওয়া হবে, যাতে গাড়ি রং সাইড দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে।