|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা ||
প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে কুমিল্লা জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ১ শত ২৫ জনের ভ্যাকসিনের চাহিদা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান। রোববার কুমিল্লা জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি ও করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই চাহিদার কথা জানান তিনি। তবে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা, পরিবহন শ্রমিক ও করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্টলাইনে থাকা এনজিও কর্মীদের সংখ্যার উল্লেখ না থাকায় তা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্তও নেয় কমিটি, যারা নতুন তালিকা তৈরীতে কাজ করবেন।
কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, এই তালিকা করতে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন, একজন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সমাজকল্যান কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধির সমন্বয়ে উপ কমিটি কমিটি করে দেয়া হবে।
তবে সিভিল সার্জন জানান, তারা সরকারি নীতি মেনেই গত নভেম্বরে এই তালিকা তৈরি করেছেন। যে কারণে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে। তা পুনরায় সংশোধন করা যেতেই পারে।
কমিটির উপদেষ্টা ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লার জনসংখ্যা অনুপাতে ভ্যাকসিনের যে চাহিদাপত্র তা খুবই কম। তাই কুমিল্লায় জনসংখ্যার অনুপাতে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে। না হয় কোন জেলায় জনসংখ্যা কম হলেও বেশি ভ্যাকসিন পাবে আর আমরা জনবহুল হওয়া সত্ত্বেও কম ভ্যাকসিন পাবো। এছাড়া কুমিল্লায় যত সংখ্যক প্রবাসী রয়েছে তাদের কথা বিবেচনায় আনলে আমাদের অনেক বেশি ভ্যাকসিন লাগবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সিভিল সার্জনকে ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র তৈরী করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দাবি উত্থাপন করবো।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় করোনার ভ্যাকসিন আসলে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে করা আছে। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ষ্টোরেজে দু’টি ডব্লিউআইসি ষ্টোরেজ আছে, যেখানে প্রতিটিতে ১ লাখ ৫০ হাজার করোনা ভ্যাকসিনের ভায়াল সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি ভায়ালে ১০টি করে ভ্যাকসিনের ডোজ থাকে। অর্থাৎ এই দুটি ষ্টোরেজে ১০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে।