কষ্টের শেষ নেই লালমোহনের মাইক্রোবাস পরিবহনে জড়িতদের

|| অনলাইন প্রতিনিধি, লালমোহন( ভোলা) ||

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে চলমান অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে কষ্টে পড়েছেন লালমোহনের মাইক্রোবাস পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ’ মালিক শ্রমিক ও ইঞ্জিন মেকানিক।
গেল প্রায় দেড় মাস ধরে গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় কাজ নেই এসব মানুষের। সরকারি -বেসরকারি কোন সহায়তাও তারা পাননি।

ম্ইাক্রোবাসের চালক সিরাজ, সবুজ, শাহিন ও মেকানিক দুলালসহ অনেকেই জানান, গাড়ির চাকা ঘুরলে তাদের জীবিকার চাকা চলে। করোনাদুর্যোগে গাড়ির চাকা বন্ধ থাকায় তাদের পরিবারের জীবিকাও বন্ধ। তবে পেটের ক্ষুধ তো আর আয় রোজগার বোঝে না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাইছেন তারা।

লালমোহন রেন্ট-এ কার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আজগর মিয়া বলেন, এ সংগঠনের ৭০টি মাইক্রোবাস করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে বন্ধ। একটি গাড়ির সঙ্গে মালিক ও দুইজন শ্রমিকের ৩টি পরিবার জড়িত। এরসঙ্গে রয়েছে গাড়িগুলোর মেকানিকদের পরিবার। এসময়ে সকল ধরণের অনুষ্ঠান বা যাতায়াত বন্ধ থাকায় সরকারের আদেশ মেনে আমরাও গাড়ি বন্ধ রেখেছি। ফলে রোজগার না থাকায় খুব কষ্টে দিন কাটছে সকলের।

তিনি জানান, এলাকায় মাইক্রোবাসের যে স্ট্যান্ডটি রয়েছে সেটি ইজারা দিয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা পাচ্ছে পৌরসভা। অথচ বর্তমান দুর্যোগে মাইক্রোবাস মালিক শ্রমিকদের জন্য পৌরসভাসহ সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগিতা তারা পাননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমোহন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জাহিদুল ইসলাম নবীণ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রচুর পরিমান ওএমএস এবং ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে। ।

তবে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, বর্তমান দুর্যোগে অসহায় হয়ে পড়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্যই সরকারি সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের কাছে সরকারের যা কিছু বরাদ্দ আসছে, তা মেয়র চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলদের কাছে আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন