|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ||
যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ভাঙ্গা হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য। পুলিশ ইতোমধ্যেই ভাস্কর্য ভাঙ্গার হোতা কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর আরাফাত শনিবার ১৯শে ডিসেম্বর দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার বাকি দু’জন হলেন সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। এ ছাড়া বাচ্চু (৩২) নামের আরেকজন পালিয়ে রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসপি বলেন, আনিসুরের সঙ্গে কয়া মহাবিদ্যালয় (কলেজ) কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এজন্য সহযোগীদের নিয়ে তিনি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ই ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ১৮ই ডিসেম্বর বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন বাঘা যতীন। কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাই বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘ হত্যা করেছিলেন বলে বাঘা যতীন নামে পরিচিত পেয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে গ্রামের কলেজের সামনে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলেন। এর আগে ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুনঃ
>> বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আটক চার চলছে জিজ্ঞাসাবাদ