|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
যাপিতজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য অনেক ক্ষেত্রে করোনায় আরোপিত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে থাকলেও শিক্ষার্থিদের জন্য আপাতত কোন সুখবর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বরের আগে খুলবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার সকালে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার কমার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাববে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু এখন কিছু কিছু ফসল উঠছে, এরপর ফসল লাগাতে হবে। কিছু কিছু জীবন যাপন আমাদের আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতে হবে। সেখানেও সবাই নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবেন, সেটাই আমরা অনুরোধ করব। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “স্কুল এখন আমরা খুলব না। স্কুল কেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটাও খুলব না। সেটা আমরা কখন খুলব? অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্কুল কলেজ সবই বন্ধ থাকবে যদি না করোনাভাইরাস তখনও অব্যাহত থাকে । যখন এটা থামবে আমরা তখনই খুলব। বেশি সমাগম যেন না হয়।”
করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৭ই মার্চ দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৬শে মার্চ থেকে সব অফিস আদালত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকতে বলা হয়।
সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটির’ মেয়াদ ৫ই মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ জারি হয় গত ২৩শে এপ্রিল। সেইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটিও একই সময় পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত ১লা এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে। আটকে আছে তারও আগে হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ২৯শে মার্চ থেকে সংসদ টিভিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস দেখানো শুরু করে সরকার। আর প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয় গত ৭ই এপ্রিল থেকে। কলেজেও ক্লাসও নেয়া হচ্ছে অনলাইনে। এসব ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এসব বাড়ির কাজ দেখাতে হবে। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।