|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||
করোনায় সবকিছু বন্ধ। বিভাগের প্রায় সব জেলাতেই চলছে লকডাউন। করোনার আর্থিক অভিঘাতে পথে বসতে চলছে এই বিভাগের প্রাণীসম্পদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। গত প্রায় এক মাসে এ অঞ্চলে ডিমের দাম কমেছে আগের তুলনায় ৩৫ শতাংশ। ১৬০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি এখন ১১০ টাকা। তার পরেও ক্রেতা নেই। দুধের লিটার ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমে এসেছে।
দক্ষিণাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য বলছে, এ অঞ্চলে বছরে প্রায় ৫০ কোটি ডিম, দেড় লাখ টন দুধ এবং দেড় লাখ টন মাংস উৎপাদন হয়ে থাকে। মাংস উৎপাদনে বেশ কয়েক বছর ধরেই স্বয়ংসম্পুর্ণ।
করোনা অভিঘাতে খামারীদের দিশেহারা অবস্থা। বন্ধ যানবাহন, চাহিদাও আগেরে চেয়ে কম। দুধ নিয়ে চরম বিপাকে খামারীরা। বাচ্চা বিক্রিও কমে গেছে। ছোট খামারিরা এখন আর বাচ্চা কিনছেন না। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক মুরগির খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সবমিলিয়ে আগামী দিন পনেরদিনে বাজারে মুরগি ও ডিমের সংকট আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, গেল ২৬শে মার্চ থেকে লাগাতর সরকারী ছুটির কারণে বাজারে চলছে ক্রেতাসংকট। যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় বাজারেও ডিম ও মুরগির সরবরাহ অনেকই কম। বেশীর ভাগ জেলায় লকডাউন থাকায় স্থানীয় হাট বাজারে আসছেন না পাইকাররা। ভোক্তা পর্যায়ের ক্রেতারাও কেনাকাটা করছেন বেশ হিসাব করেই।
বিষয়টি নিয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কাউকে ফোনে পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।#