|| অনলাইন প্রতিনিধি, শেরপুর ||
করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়েই বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কিন্ডারগোর্টেন স্কুলগুলোও। প্রায় এক মাসের বেশী সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় অর্থকষ্টে পড়েছেন শিক্ষকরা। বাধ্য হয়েই সরকারের সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শেরপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন।
পরিসংখ্যান বলছে, শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় কিন্ডারগাটেন স্কুল রয়েছে চারশ’র বেশী। এসব স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারী নির্দেশনায় গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল। মাসের মাঝামাঝি বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতনটাও নেওয়া যায়নি। মূলত শিক্ষার্থিদের বেতনেই বেতন পান এসব স্কুলের শিক্ষকরা।
এছাড়া বেশিরভাগ স্কুলের ঘরভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলও দেওয়া হয়নি। আর্থিক কোন সহায়তা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন পার করছেন জেলার বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মালিক, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
শেরপুর কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও অনুরণ এক্সক্লুসিভ স্কুলের পরিচালক সাদেকুন নাঈম বলেন, “করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। শিক্ষার্থীদের বেতন আদায় না হওয়ায় স্কুলের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। এরসাথে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার ব্যাপারে একটা চাপ রয়েই যাচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন না দিতে পারলে শিক্ষকরাও ভোগান্তিতে পড়বে।”
শেরপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, “করোনার জন্য আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিপাকে পড়েছেন। অনেকের একমাত্র উপার্জনের রাস্তা হলো শিক্ষকতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকবান্ধব। তাই পরিচালক ও শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে আর্থিক সহায়তা চাইছি।”
লকডাউনের এই সময়ে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বুধবার স্মারকলিপি দিয়েছে শেরপুর কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। শেরপুর সদর উপজেলার ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-পরিচালক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, প্রতি উপজেলা থেকে স্কুলের তালিকা মোতাবেক সরকারের সহযোগিতা শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করবে জেলা প্রশাসন।#