|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||
করোনায় বন্দিমুক্তির সরকারি সিদ্ধান্তে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১০ কয়েদি। কারাগারে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সরকার দেশের কারাগারগুলো থেকে হাজার তিনেক বন্দিকে মু্ক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা কারাকর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পাঠানো নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে একজন নারী সহ ১০ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার ৩রা মে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক ও ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহিম। তারা জানান, ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ৩ জন ও ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ৭ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে এদের মধ্যে একজন অপর এক মামলার আসামী হওয়ায় তিনি মুক্তি পাননি এখনও।
মুক্তরা হলেন, শরীফ উদ্দিন মোল্লা, দবির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, কহিনুর বেগম, সুজন কর্মকার, হালিম হাওলাদার, শামিম খলিফা, মাইনুল ইসলাম, আসলাম ঘড়ামি এবং রাসেল প্যাদা। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম অন্য আরেকটি মামলার আসামী তাই তিনি এখনো মুক্তি পাননি।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র থেকে জানানো হয়, সরকারের ঘোষনা আসার পর ২রা এপ্রিল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্তদের ভেতর ইতোমধ্যে ২০ বছরের সাজা ভোগ করা হয়েছে এমন ৮৭ জন, সাজাপ্রাপ্ত ও হাজতী ৬ নারী আসামীসহ ২শ’ ৪০ জনের নামের তালিকা স্বরাস্ট্র মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছিল। বাছাই শেষে গতকাল ২রা মে ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ১শ’ ১০ জনের তালিকা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে ৩ পুরুষ কয়েদিকে মুক্তি দেয়ার আদেশ বরিশাল কারাগারে পাঠায় স্বরাস্ট মন্ত্রালয়।
উল্লেখ্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬শ’ ৩৩ জনের ধারন ক্ষমতা থাকলেও রয়েছে সাড়ে ১৩শ’ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপাপ্ত কয়েদি ও হাজতি রয়েছে। প্রশাসনে রয়েছেন ডিআইজি প্রিজন, সিনিয়র জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলার সহ হাবিলদার, গোয়েন্দা শাখা ও কারারক্ষি মিলিয়ে কর্মরত রয়েছেন ২২৫ জন।
ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম জানান, সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের পর থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ও বাইরেসহ বিভিন্নস্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার হাজতি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাথে আত্বীয়-স্বজনদের দেখাশুনা বন্ধ রাখা হয়েছে।