|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সময়ে ৫০ হাজার দুর্গত পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিসিসি। মহানগরীর ৫২ হাজারেরও বেশী মানুষকে এ সহায়তা তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিসিসি করোনা মোকাবেলায় দরকারি স্বাস্থ্য সচেতনা কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে।
বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। সংবাদ সারাবেলাকে বিসিসি সূত্র জানায়, করোনার প্রাদূর্ভাবের শুরুতেই স্টাফদের সুরক্ষায় বায়োমেট্টিক হাজিরা স্থগিত, নগর ভবনসহ নগরীর ১২টি সড়ক পয়েন্টে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর গত ৩০শে মার্চ থেকে অসহায় মানুষদের খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি শুরু হয়। যার আওতায় ৩০শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরের ৫২ হাজার পরিবারকে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিকে বিসিসির পানি সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, গত দেড়মাস ধরে করোনা রোধে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে বর্তমানে প্রতিদিন ৪২ হাজার লিটার জীবানুনাশক পানি নগরীর বিভিন্ন সড়কে স্প্রে করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তাদের শাখায় ৯ হাজার ধারন ক্ষমতার নতুন একটি ভাউজার যুক্ত হওয়ায় জীবনুনাশক স্প্রে কার্যক্রম আরো জোরদার করা সম্ভব হয়েছে। ছোট দুটি গাড়ীর সাহায্যে নগরীর বর্ধিত এলাকায় এবং বড় গাড়ীর সাহায্যে গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
অপরদিকে বিসিসির পরিচ্ছনতা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম জানান, করোনা রোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। কয়েকশ’ কর্মী নগরী পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন জানান, জনগনের স্বাস্থ্য সচেতন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসব ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযানে আভিযানিক এলাকায় উপস্থিত জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও জিনিসপত্রের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।