|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল (বাগেরহাট) ||
চলমান সর্বাত্নক লকডাউন পরিস্থিতিতে উপজেলাব্যাপী লোনের কিস্তি সংগ্রহ না করতে বিভিন্ন এনজিওকে নির্দেশনা দিয়েছেন রামপাল ইউএনও মো. কবির হোসেন ৷
মঙ্গলবার ২০ই এপ্রিল সকালে তিনি রামপাল উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কিত একটি বার্তা পোষ্ট করেন ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যাবসায়ী এবং জনসাধারনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে ৷
গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারনে এনজিওগুলোকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে সরকারীভাবে নির্দেশনা প্রদান করলেও , মাঠ পর্যায় থেকে তাদের বিরুদ্ধে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছিলো ৷ এবারও সর্বাত্নক লকডাউনে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যাবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে না পারায় একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তেমনি অপরদিকে গ্রামীন নারী উদ্যোক্তাতাদের আয়ে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ৷ তাদের অনেকেই বিভিন্ন এনজিওর ঋনের বেড়াজালে আবদ্ধ ৷ এই পরিস্থিতিতে আয়ের উৎস সীমিত হয়ে পড়ায় রিতীমতো বিষফোড়া হয়ে দাড়িয়েছে ঋনের কিস্তি ৷ অনেক এনজিওর গ্রাহকদের অভিযোগ তারা ঋন দেয়ার পর করোনা পরিস্থিতির মাঝেই অমানবিক আচরণ করে কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহককে চাপ দিতে থাকে ৷
স্থানীয় বেশ কয়েকজনের ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, করোনার কারনে গত বছর থেকেই তাদের ব্যাবসায়
প্রচুর লস হলেও , ঋনের কিস্তি পিছু ছাড়েনি ৷ কিছুটা ক্ষতি পোষাতে ঈদকে সামনে রেখে আবারও স্থানীয় আশা, নবলোক, আরআরএফ সহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়েছিলেন তারা ৷ হঠাৎ করেই করোনা পরিস্থিতির কারনে লকডাউন তাদের ঘুরে দাড়ানোর সপ্নকে মাটি করে দিয়েছে ৷ তার উপর এসব এনজিও আবার ঋনের কিস্তির জন্য উপুর্যপরী চাপ দিচ্ছে ৷ এরই মাঝে এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার সরকারী নির্দেশনার খবরে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ৷
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. কবির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ রুটি রুজির জন্য বের হতে পারছেনা , সুতরাং তাদের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা স্থানীয় এনজিওগুলোর কাছে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছি ৷ পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা কার্যক্রম চালু করতে পারে ৷ গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারনে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন ৷ সেসব বিবেচনা করে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে ৷”