করোনাভাইরাস শনাক্তে শুরু হলো অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
দ্রুততম সময়ে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে দেশের দশ জেলায় শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। গতকাল শনিবার সকালে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রাথমিকভাবে গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালী জেলায় এই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দ্রুত সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের জন্যই এই অ্যাটিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হল। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।” প্রাথমিকভাবে চালু হওয়া ১০ জেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে পুরো দেশে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তির যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে, তাহলে তাকে আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। কেননা এখন পর্যন্ত রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতিই সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশে এই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হয়ে আসছে। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই। সেই কারণেই সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্যোগ। এই পরীক্ষার জন্যও নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা সঠিক সময় নিয়ে আসার টেষ্টা করছে। এখন আমাদের সামাজিক সুরক্ষা টিকা হিসেবে মাস্ক পরাকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”

অনুষ্ঠানে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, “২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।” প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা সরকার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে এবং তার শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন সন্দেহজনক রোগীর আরআরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে।”

যশোর দিয়ে শুরু হলো অ্যান্টিজেন টেস্ট
অবশেষে বিনামূল্যে বাংলাদেশে শুরু হলো র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০টি জেলায় এই টেস্ট শুরু হলো। শনিবার ৫ই ডিসেম্বর সকালে যশোর জেলা সদর হাসপাতালের অ্যান্টিজেন টেস্টের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে দেশের ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। আর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জুমের মাধ্যমে সেখানে ১০টি জেলার সিভিল সার্জন, হাসপাতালগুলোর পরিচালকসহ অন্যারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যরা।

স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেসব জেলায় আর-টি পিসিআর টেস্টের সুযোগ নেই, সেসব জেলাতেই অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হলো। সে চিন্তা থেকেই প্রান্তিক জেলাগুলোতে শুরু করতে চেয়েছিলাম প্রথম থেকে।’
তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট অনেক কাক্সিক্ষত ছিল, অবশেষে সেটা চালু হলো। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমের আরও সম্প্রসারণ করা হবে। তিনি ১০ জেলার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, এ কার্যক্রম নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন না ওঠে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পরীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এ পরীক্ষা করতে হবে যেন কোনও ভুল হবার আশঙ্কা না থাকে।

বড় হাসপাতাল ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। কার্যক্রম উদ্বোধনের পর প্রথমে যশোর সদর হাসপাতালে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তিন জনেরই নেগেটিভ ফল এসেছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় এই তথ্য দেন। তিনি জানান, যশোর থেকে একজন চিকিৎসক, একজন টেকনিশিয়ান ও একজন আইটি স্পেশালিস্ট ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যশোরে আসার সময় এক হাজার কিট নিয়ে এসেছেন। পর্যায়ক্রমে আরও আসবে।
এক পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই টেস্টটি সবার জন্য নয়। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকরা যাকে প্রেসক্রাইব করবেন, শুধু তাদেরই পরীক্ষা করা হবে।’

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করোনা রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। দেশের ১০টি জেলার মধ্যে যশোরেও এই টেস্ট ব্যবস্থা থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে বেশ সুবিধা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভৌগোলিক কারণে যশোরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ৫টি জেলার যোগাযোগের কেন্দ্র যশোর। তাছাড়া যশোরে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর, একটি বিমানবন্দর এবং রেলওয়ে স্টেশন। যশোরে প্রতিদিন ৬০-৮০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পঞ্চগড়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু
পঞ্চগড়ে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ৫ই ডিসেম্বর সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজা বেগম রীনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেস্টের উদ্বোধন করেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। এজন্য একজন চিকিৎসক ও দুজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কাজ করবেন। তাদেরকে ঢাকায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আইইডিসিআর থেকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৫০০ কিট দেওয়া হয়েছে। একজন করোনা রোগীকে পরীক্ষার পর মাত্র ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ফল দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখানে আসা রোগীদের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হবে। যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে তারা ১০০ টাকা ফি দিয়ে এই পরীক্ষা করাতে পারবেন।

জেলা শহরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম রতন ও আবুল কাশেম প্রধান রাজু জানান, পঞ্চগড়ে দ্রুততম সময়ে করোনা শনাক্তের জন্য র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সেবা চালু হওয়ায় তারা খুশি। এর ফলে করোনা রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। তবে টেস্টের বিষয়টি নিয়ে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। অনেকেই বিষয়টি জানেন না।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্বাস্থ্য সহকারী খাজা ময়েনউদ্দীন আহম্মেদ জানান, যেসব রোগীর সবোর্চ্চ উপসর্গ রয়েছে তাদেরকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। অন্যদের উপসর্গ নিয়ে আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।

পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আফরোজা বেগম রীনা জানান, প্রথম দিনে ৩ জন রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে একজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। যাদের নেগেটিভ হবে তাদের নমুনা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

সিলেটে শুরু হয়েছে ফ্রি ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’
করোনা শনাক্তের জন্য সিলেটে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। শনিবার ৫ই ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে এই টেস্ট শুরু হয়েছে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। আধঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে টেস্টের জন্য কোনও ধরনের ফি লাগবে না। বিষয়টি নিশ্চিত কররেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

তিনি বলেন, ‘শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। এর মাধ্যমে আধা ঘণ্টার মধ্যে আমরা কেউ আক্রান্ত কিনা তা জানতে পারবো। যাদের শরীরে ৩ দিন ধরে করোনার উপসর্গ আছে। তাদেরকে অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতায় আনা হবে। উপসর্গ না থাকলে নমুনা পরীক্ষা হবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য আমরা নেজাল সোয়াব (নাকের ভেতর থেকে নমুনা) নেবো। প্রত্যেকের দু’টি করে স্যাম্পল নেওয়া হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর কেউ নেগেটিভ হলে অধিকতর নিশ্চিতের জন্য আরেকটি নমুনা পরীক্ষা করা হবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে।’

অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সিলেটে ৫০০ কিট রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমাংশু লাল রায়। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই আরও কিট পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, শামসুদ্দিন হাসপাতালে আগে সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হত। এখন থেকে হাসপাতালে রয়েছে ১০ হাজার লিটার সেন্ট্রাল অক্সিজেন। রোগীরা তাদের বেডের পাশে থাকা অক্সিজেনের লাইন থেকে অক্সিজেন নিতে পারবেন।

এদিকে, ওসমানী মেডিক্যালের করোনার ল্যাবের মেশিনের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার কারণে ল্যাবে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তবে যাদের কাছ থেকে মেশিনটি নেওয়া হয়েছে তারা মেরামত করতে সিলেটে এসেছেন।

অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু পটুয়াখালীতে
পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সকাল থেকে শুরু হয় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন বলেন, “অ্যান্টিজেন টেস্ট সম্পন্নের লক্ষ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রশিক্ষিত ডাক্তারের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েই পরীক্ষা শুরু করেছেন।” তিনি জানান, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় যে রোগীর ফল পজিটিভ আসবে, সে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে, আর যার নেগেটিভ ফল আসবে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এই পরীক্ষায় যুক্ত থাকা এক চিকিৎসাকর্মী শনিবার দুপুরে বলেন, একটি স্ট্রিপের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিন জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আরও পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলবে বলে জানানো হয়েছে।

জয়পুরহাটেও শুরু অ্যান্টিজেন টেস্ট
জয়পুরহাটেও শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন করোনা টেস্ট, ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই পাওয়া যাবে এর ফলাফল। সারাদেশের দশ জেলা হাসপাতালের মত জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালেও এই টেস্ট শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় এই পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ টেস্টর জন্য খরচ হবে মাত্র একশ টাকা।

পরীক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল, আরএমও ডা. সাইফুল ইসলাম, ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা টেস্টের জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন এবং তাদের নমুনা দেন। প্রাথমিকভাবে এ হাসপাতালে ৫’শ কিট দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটি পিআরএ টেস্ট শুরু হয় ১৬ই জানুয়ারি। প্রথমে দেশের একটি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হলেও বর্তমানে দেশের ১১৮টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে শুরু থেকেই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কথা বলে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে কারও লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অনেকগুলো একসঙ্গে করা যাবে, পরীক্ষা করা যাবে দ্রুত, আরটি-পিসিআরের তুলনায় খরচ অনেক কম। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর নেই, সেসব জেলার পাশাপাশি যেসব জেলায় সংক্রমণের হার বেশি সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্ট রাখা হচ্ছে।

অ্যান্টিজেন টেস্টের সেনসিটিভিটি ৮০ শতাংশ হওয়াতে এখানে ফলস নেগেটিভ হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে আরটি-পিসিআরের চেয়ে বেশি। যার কারণে অ্যান্টিজেন টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তাকে পজিটিভ ধরে আইসোলেশন এবং চিকিৎসা দেওয়া হবে। কিন্তু কেউ নেগেটিভ হলে তাকে পুনরায় আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন