করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে বরাবরের মতো চা শ্রমিকরা

কঠোর লকডাউনে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও চা বাগানে চা শ্রমিকদের কাজ করতেই হচ্ছে। চা বাগেনে নেই কোনো বিধিনিষেধ সবাই দলবেঁধে ঝুঁকিতে কাজ করছেন চা-শ্রমিকরা।

 

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার ||

মৌলভীবাজারে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়ছে চা বাগানগুলোতেও।

শ্রীমঙ্গলের মাজদি, সোনাছড়া, ভুড়ভুড়িয়া, আমরাইল, হুগলি, বৌলাছড়া চা বাগানসহ প্রায় সব বাগানেই লোকজন সংক্রমিত হচ্ছেন লোকজন। বিশেষ করে শ্রমিকরা রয়েছেন বেশী ঝুঁকিতে।

২৩শে জুলাই থেকে আগস্ট ৫ই আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও চা বাগানে চা শ্রমিকদের কাজ করতেই হচ্ছে। চা বাগেনে নেই কোনো বিধিনিষেধ সবাই দলবেঁধে ঝুঁকিতে কাজ করছেন চা-শ্রমিকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মরত অবস্থায় কারো মুখে মাস্ক নেই, কেউ জনদূরত্ব বজায় রাখতে পারছেন না, মানতে পারছেন অন্যান্য বিধিনিষেধ।

শ্রীমগল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের চা-শ্রমিক শিলা রিকয়াশন বলেন, চা বাগান যেহেতু খোলা রয়েছে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। যদি কাজ না করি তাহলে মজুরি পাব না। আর মজুঁরি না পেলে খাবারের টাকা জুটবে না।

এরই মধ্যে আগের মতোই প্রায় প্রতিটি বাগানে শ্রমিকবস্তিগুলোতে চলছে মাদদের রমরমা ব্যবসা ও মাদকসেবন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক জানান, সন্ধ্যা হলেই চা বাগানে জমজমাট শুরু হয় মাদকের ব্যবসা ও মাদকসেবন। বহিরারাগত লোক এসে আড্ডা দেয়,যার কারনে বাগানের লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

সংবাদ সারাদিন