|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মত করোনাপরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের আনা নেওয়ার জন্য বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৬টি মাইক্রোবাস দেয়া হয়েছে। যেগুলো ইতোমধ্যেই জেলায় এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, হিজলা, মুলাদী ও উজিরপুরের জন্য আরো তিনটি মাইক্রোবাস পেতে ঢাকায় কর্তৃপক্ষর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। এছাড়া কিছু স্বাস্থ্যসরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, সেটিও কীভাবে দ্রুত মেটানো যায় সে নিয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড রেষ্টহাউজে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালকসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব তথ্য জানান।
করোনায় স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রসেঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্য এলাকার রোগী আমরা পাচ্ছি। তাদের সুস্থতার জন্য আমরা গরম পানির বাষ্প, লবন দিয়ে গরম পানির গড়গড়া করানোর জন্য বলছি। রোগিরা যাতে এগুলোর সুবিধা পায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রোগিরা যাতে দিনে ৪ বেলা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারে এবং লবন, রসুন আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে এসব ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন রোগী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলে তাকে কিভাবে, কোথায় রিসিভ করা হচ্ছে, কিভাবে তাকে কোন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে, সবকিছু ঠিকভাবে চালু আছে কিনা এবং আগের দেয়া নির্দেশনাগুলো ঠিকভাবে ফলো করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেছি। যে সব সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনেছি সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি বরিশাল বাসির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, বাড়ির বাইরে কম যাবেন, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সবসময় গরম পানি খাবেন, গড়গড়া করবেন। যাতে নিজে ও পরিবারকে সুস্থ্ রাখতে পারেন।
সভায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অসীত ভূষণ দাস, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।