করোনাকালে কাঁকড়া খেয়েই জীবন বাঁচাচ্ছেন বেনাপোলের বৃদ্ধা কবিতা

কেউ কোনো খাবার দিলে তা একটু খেয়ে আর একটু বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। খাবার না থাকলে কখনো না খেয়ে খালে বিলে কিংবা ডোবা জলাশয় থেকে ছোট ছোট কাঁকড়া ও বনজ ফল খেতে দেখা যায় তাকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল ||

যশোরের বেনাপোল বাইপাস সড়কের দক্ষিন দিকের মাঠে দীর্ঘ ৮ মাস খোলা আকাশের নিচে কাঁকড়া ও বনজ ফল খেয়ে জীবন চালিয়ে নিচ্ছেন বৃদ্ধা কবিতা। করোনা কালে শীতের মধ্যে শুধু কাঁকড়া খেয়ে খোলা আকাশের নিচে জবুথবু হয়ে দিন পার করছে সে। খাবারের নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা না থাকায় না খেয়েই থাকতে হচ্ছে তাকে। কেউ কোনো খাবার দিলে তা একটু খেয়ে আর একটু বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। খাবার না থাকলে কখনো না খেয়ে খালে বিলে কিংবা ডোবা জলাশয় থেকে ছোট ছোট কাঁকড়া ও বনজ ফল খেতে দেখা যায় তাকে।

এই বৃদ্ধার খবর পেয়ে শার্শার কৃতি সন্তান দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রজমান মিজান কাঁকড়া খাওয়া কবিতার কাছে শীত পোষাক, খাবার নিয়ে হাজির হন। দেশে এমন অনেক জায়গায় খাবার এবং থাকার জায়গা না পেয়ে কবিতার মত অনেক মানুষ দিন কাটাচ্ছে। সমাজের সকল মানুষকে দেশসেরা উদ্ভাবক মিজান বলেন, সমাজের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অসহায় মানুষের পাশে আমরা যদি দাঁড়ায় তাহলে তাদের আর এমন কষ্টের সাথে দিন যাপন করতে হবে না। আমরা সবাই সবার স্থান থেকে যদি এগিয়ে আসি এসকল অসহায় মানুষের পাশে।

 

সংবাদ সারাদিন