|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার ||
কক্সবাজারের গহীন বনে ঘর করে দখল করা সংরক্ষিত বনায়নের ৫ হেক্টর জমি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এসময় বারোটিরও বেশী কাঁচাবাড়িও উচ্ছেদ করা হয়েছে। দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জের কলাতলী শুকনাছড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার ১৭ই ডিসেম্বর দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযানে এসব বনভূমি দখলমুক্ত হয়।

দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর সাহা জানান, কক্সবাজার সদর রেঞ্জের বেশীর ভাগ জমি পর্যটন এলাকায়। ফলে এখানকার পাহাড় সমতল সবখানেই দখলদারদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। চিহ্নিত অপরাধী, এলাকার প্রভাবশালী, সরকারী দলসহ নানা রাজনৈতিক মতাদর্শের দখলবাজরা পাহাড়ের সব ধরনের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। তারা বাদ দেয়া না বনায়নের জমিও। তেমনি ভাবে কলাতলীর শুকনাছড়ির সংরক্ষিত বনের ভেতর ঘর করে দখলে নিয়েছিল চিহ্নিত দখলবাজরা। এটি জানার পর কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) নির্দেশে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিট কর্মকর্তা, স্টাফ ও ভিলেজারগণ অভিযানে নামেন। এসময় ঝিলংঝা মৌজার শুকনাছড়ি এলাকার আরএস ৬৯২ দাগের ৫ হেক্টর বনভূমি দখলমুক্ত করে বনবিভাগ। গুড়িয়ে দেয়া হয় পাহাড় কেটে করা ঘরগুলো। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, কক্সবাজার সদর রেঞ্জের বেশীর ভাগ জমি মেরিন ড্রাইভের পূর্বে পর্যটন এলাকায়। এখানকার পাহাড়-সমতল সব জমি-ই মূল্যবান। তাই পরিবেশের ব্যানারে প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে কিছু লোক এসব সরকারি জমি দখলে উৎসাহিত করছে। প্রশাসন ম্যানেজ তাদের ওয়ান-টুর বিষয় এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে তাদের সখ্য দেখিয়ে দখলদাররা হাতিয়ে নেয় বিপুল অংকের টাকা। পরিবেশের সাইনবোর্ডে আবার গণমাধ্যমের পরিচিতিও দেখায় অনেকে। ফলে তাদের এসব অপকর্মের বিষয়ে মুখ খোলেনা বন সংশ্লিষ্টরা। তাই দখল কার্যক্রম প্রতিদিন বাড়ছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সুবিধাভোগীদের লোলুপদৃষ্টি সবসময় বন ও বনভূমি প্রতি পড়ে। বাড়ে দখলদার। লোকবল সংকটের কারণে অনেকসময় ইচ্ছে থাকার পরও সময়মতো অভিযান চালানো যায় না। কিন্তু দখলে অভিযুক্ত এলাকাগুলোতে এখন থেকে কঠিন নজরদারি রেখে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। দখলদার যে-ই হউক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের আওতায় আসবে তাদের সহযোগীও।