কংকাল ও আলামত থেকে হত্যারহস্য বের করলো পিবিআই

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক নারীর কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ। এই কঙ্কাল নিয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। তদন্তের একমাসের মাথায় জানা গেলো হত্যারহস্য। শনিবার ২০শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে খুনের পুর্বাপর জানান পিবিআই।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ ||

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক নারীর কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ। এই কঙ্কাল নিয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। তদন্তের একমাসের মাথায় জানা গেলো হত্যারহস্য। শনিবার ২০শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে খুনের পুর্বাপর জানান পিবিআই।

নিহত কুলসুম বেগম (৩৫) পূর্ব রুশদী গ্রামের আলী আকবর মোড়লের মেয়ে। সে পূর্ব হাসাড়গাঁও গ্রামেই থাকতেন। মূল আসামি সুমন শেখও (৩১) একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

গেলো ৫ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে শ্রীনগরের আটপাড়া ইউনিয়নের হাসাড়গাঁও গ্রামের জমিতে এক নারীর হাড়, মাথার খুলি, স্যান্ডেল, মাথার ক্লিপ ও ছেড়া ফারা কাপড়ের অংশবিশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। যা দেখে কুলসুমের ছেলে কামরুল তার মায়ের মরদেহ নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে ৭ই ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর থানায় মামলা করেন কামরুল।

সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই জানিয়েছে, ১৭ই জানুয়ারি মায়ের বাসা থেকে নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন কুলসুম। এরপর পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এরআগে কামরুল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর চলে যান কাজে যোগ দিতে। কুলসুমের মোবাইল বন্ধ পেয়ে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। ৫ই ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টার দিকে এক ব্যক্তি ফোন করে কামরুল হাসানকে জানান, পূর্ব হাসাড়গাঁও গ্রামে তার বাবার জমিতে হাড়, মাথার খুলি, স্যান্ডেল, মাথার ক্লিপ ও ছেড়া ফাড়া কাপড়ের অংশ পাওয়া গেছে।

তখন কামরুলের বোন ইসরাত জাহান অরিন লাশের সাথে থাকা এসব দেখে তার মাকে শনাক্ত করে। মানিকগঞ্জ থেকে গ্রামে ফিরে কামরুলও শনাক্ত করেন মায়ের লাশ। এরপর পিবিআই ৭ই ফেব্রুয়ারি এ মামলাটি আমলে নেয়।

পিবিআই জানায়, গোপন সূত্র ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন শেখকে শনাক্ত করা হয়েছে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার রামকৃষ্ণদি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ‍পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মামলাদ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রমুখ।

সংবাদ সারাদিন