এখনো সংস্কার হয়নি বাঘা যতীনের ভাঙ্গা ভাস্কর্য

দুর্বৃত্তায়নের ক্ষত নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে কয়া কলেজ প্রাঙ্গনে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য। এখন পর্যন্ত জানা যায়নি ভাস্কর্য ভাংচুরের নেপথ্যর কাহিনী। 

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ||

দুর্বৃত্তদের শিকার বাঘা যতীনের ভাঙ্গা ভাস্কর্য মেরামত করা হয়নি এখনো। বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই নেতার ভাস্কর্যটি ভাঙ্গা হয় গেলো ১৮ই ডিসেম্বর। ভাংচুরের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার করা হয়নি এটি। দুর্বৃত্তায়নের ক্ষত নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে কয়া কলেজ প্রাঙ্গনে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য। এখন পর্যন্ত জানা যায়নি ভাস্কর্য ভাংচুরের নেপথ্যর কাহিনী।

এ ঘটনায় কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি কয়া ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা মহিরুদ্দিন সেখের ছেলে আনিচুর রহমান আনিচ (৩৫), নাসির উদ্দিনের ছেলে সবুজ হোসেন (২০) এবং বুদ্দিন মন্ডলের ছেলে হৃদয় হোসেন (২০)কে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। গত ২১শে ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিনা খাতুন শুনানিশেষে আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু আসামীপক্ষ হাইকোর্টে রিভিশন করায় এখন পর্যন্ত আসামীদের রিমান্ডে নিতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে বাঘা যতীনের ক্ষত-বিক্ষত ভাস্কর্যটি কবে নাগাদ সংস্কার হতে পারে তা এখনও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি এ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের, আমাদের না। তিনি আরো বলেন, মামলার কারনে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, ভাংস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাই বাঘা যতিনের ভাস্কর্য সংস্কারে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া সংস্কার কাজ সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী সংগঠন ‘যুগান্তর দলে’র নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে। খালি হাতে বাঘ মারার কারণে তার নাম হয় বাঘা যতীন। ১৯১৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন যতীন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয় কলেজ চত্বরে ২০১৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর বিপ্লবী বাঘা যতীনের এই আবক্ষ মূর্তিটি স্থাপন করা হয়।

সংবাদ সারাদিন