|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও ||
বর্তমান নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই কমিশন এখন আর ভোটারদের কথা ভাবে না। জনগনের করের টাকায় পরিচালিত সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি এখন আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
মঙ্গলবার ২০শে অক্টোবর বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, এই সরকার আবারো প্রমান করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলছে তাতে করে এখানে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয় মার্কায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। এতে সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয়। এতে একটা জিনিস প্রমানিত হয়েছে দলীয় সরকারের আওতায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোট সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ইলেকশন কমিশনের হিসাব মতে সেখানে শতকরা ১০ ভাগ ভোট পড়েছে। সেখানে যে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয়েছে সেটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারপরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটের ফলাফলে সস্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ফখরুল বলেন, ইসির এমন অবস্থান আর ভোটার ছাড়া নির্বাচন প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বিএনপি দৃঢ়ভাবে বলে আসছে নির্বাচনসময়ের সরকার যদি পরিবর্তন না হয়, নির্বাচন কমিশন যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন,২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের আগের রাতে এবং ভোটের দিন দেখা গেছে, সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ভোটে কেউ ভোট দিতে যায়নি। এবং ২০১৮ সালে তা আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। সেই সময় তারা ১৫৪টি সংসদীয় আসন তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়।
তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিএনপির নেতাকর্মীদের পদত্যাগের প্রস্তাবের জবাবে বলেন, তিনিতো আমাদের নেতৃত্বের পদত্যাগ চাইতে পারেন না। এই অধিকার তার নেই। আমাদের পদত্যাগ চাইতে পারে আমাদের দলের লোকেরা। মূল কথা হলো আমরা তাদের( সরকারের) পদত্যাগ চেয়েছি বলেই তারা আমাদের পদত্যাগ দেখতে চান।
বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, এক হাজার নেতাকর্মীকে খুন, এবং ৫শ’র মতো নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, অর্থ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান তুহিন সহ দলীয় নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন ।