|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ||
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ঈদের জামায়াত না পাওয়ায় ইমামকে মারধর করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা হাজী ফিরোজ কিবরিয়া। আর তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানবার পর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক হাজী ফিরোজ কিবরিয়া উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। সোমবার দুপুরের দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার দুলারহাট থানার নুরাবাদ শামছুল হক কমান্ডার বাড়ীর সামনের বায়তুন নুর জামে মসজিদে ঈদের জাময়াত না পাওয়ায় মসজিদের ইমাম মাওলানা নুর হোসেনকে হুমকি ও মারধর করেন হাজী ফিরোজ কিবরিয়া।
পরে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে রোববার বিকেলে দুলারহাট বাজারে কওমী মাদরাসা ছাত্রদের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা নুর হোসেন জানান, শুক্রবার মসজিদ কমিটির সভাপতি মৌলভী আবুল কাশেমসহ মুসল্লীদের সিদ্ধান্তে ঈদের নামাজ সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়ার কথা ছিলো। সে অনুযায়ী নামাজ শুরু হয়ে সকাল ৯টা ১০মিনিটে নামাজ শেষ হয়। পরে নুরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী ফিরোজ কিবরিয়া তাৎক্ষণিক মুসল্লীদের সমানে আমাকে মারধর করে ও হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সুবিচার না পেয়ে দুলারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা ফিরোজ কিবরিয়ার বাবা মৌলভী আবুল কাশেম বলেন, তার ছেলে ইমামকে মারধর করেনি। শুনেছি নির্দিষ্ট সময়ে ঈদের জামাতে নামাজ না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করেছে।
দুলারহাট থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন খান বলেন, ইমামকে মারধরের ঘটনায় একটি অভিযোগ উঠলে এলাকায় উত্তেজনার সৃস্টি হয়। পরে সোমবার দুপুরের দিকে এলাকা থেকে অভিযুক্ত ফিরোজ কিবরিয়াকে আটক করা হয়।