আসামীদের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নিয়েছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় আসামিদের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করার স্বীকারোক্তি নিয়েছে পুলিশ।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় আসামিদের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করার স্বীকারোক্তি নিয়েছে পুলিশ। বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে এমনি প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবার ৫ই জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আইনজীবী শিশির মনির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৪ঠা জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নারায়নগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের  বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়। গত ২৪শে সেপ্টেম্বরে এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয়  তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫শে আগস্টে এই ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। ৫ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন। এই পাঁচ আইনজীবী হলেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো.মিসবাহ উদ্দিন।

গত ২৪শে আগস্ট “ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন” শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন। এরপর মঙ্গলবার একটি রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে শিশির মনির জানান, গত ৪ঠা জুলাই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। গত ৬ই আগস্ট নিখোঁজ  স্কুল ছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, তারা ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদেরকে জেলে পাঠানো হয়।  কিন্তু ২৩শে আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া যায়। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামীরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যেখানে দিসা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে।

 

সংবাদ সারাদিন