আরও ৪ জেলার ৭ ‘রেড জোনে’ সাধারণ ছুটি লকডাউন বাড়ল রাজাবাজারে

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের আরও চার জেলার সাতটি ‘রেডজোন’ ঘোষনা করে দেওয়া হয়েছে ‘সাধারণ ছুটি’। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার, মাগুরা, খুলনা ও হবিগঞ্জের সাতটি ‘রেড জোনে’ ২৪শে জুন থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

রেড জোনে থাকা সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। তবে জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। এনিয়ে তিন দফায় দেশের ১৯ জেলার ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরর আদেশে বলা হয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন রেড জোনে মানুষের জীবনযাত্রা ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে। অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি। লকডাউন সময়ে বাইরের কেউ রেড জোনে ঢুকতে এবং এলাকার কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। তবে চিকিৎসাসেবা, সাংবাদিক, ও জনসেবায় সম্পৃক্ত চাকরিজীবীদের মত জরুরি দায়িত্বে নিয়োজিতরা এই নির্দেশনার বাইরে থাকবেন।

পূর্ব রাজাবাজারে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ

সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন পথপদ্ধতির অধীনে প্রথম ‘রেড জোন’ ঘোষিত রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরো সাতদিন। প্রথমে ১৪ দিনের লকডাউন দিলেও সেই সময় আরো ৭দিন বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পূর্ব রাজাবাজারের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

লকডাউনের আগে পূর্ব রাজাবাজারে করোনাভাইরাসের রোগী ছিল ৩৯ জন। লকডাউনের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরো বেড়েছে। তাই সেখানে মোট ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর থাকবে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এলাকাটিতে কড়াকড়িভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছেন পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থানীয় নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেই এলাকার মানুষ নমুনা দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে ‘সাধারণ ছুটি’র প্রত্যাহার করে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ শিথিল করায় দেশজুড়ে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে সংক্রমণ। তাই সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে নতুন করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করতে শুরু করেছে সরকার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন