|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||
গাইবান্ধায় আমন ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণসহ নানা ধরণের রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ গাইবান্ধার কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে চলতি মৌসুমে আমন চারা রোপণ করেছিলেন। কিন্তু স্বপ্নের ধান ক্ষেতে হানা দিয়েছে নানা ধরনের পোকা-মাকড়সহ রোগবালাই।
পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও তেমন কাজ হচ্ছে না বলে কৃষকরা জানান। ফলে ফসলহানির আশঙ্কায় ভুগছেন তারা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা গ্রামের কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, গত বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঋণ করে দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। কিন্তু মৌসুমের মাঝামাঝি এসে ক্ষেতে দেখা দিয়েছে রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব। এতে করে আশানুরূপ ফসল পাওয়া যাবে না।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলাল গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, রোগবালাই ও পোকা-মাকড় নিধনে বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল মিলছেনা। এ অবস্থায় হতাশ হয়ে এখন ক্ষেত থেকে ধানের গাছ কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছি।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে কিছু জমিতে রোগবালাই ও পোকামাকড় দেখা দিয়েছে। সিগাটোকা রোগের জন্য প্রোপ্রি কোনাজল গ্রুপের ওষুধ, নেক ব্লাস্টে ট্রাইসাইক্লাজল, পাতা মোড়ানোর জন্য কার্টাপ গ্রুপের ওষুধ ছিটালে ভালো ফল আসতে পারে।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, চলতি বছর আমন ক্ষেতে রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম রয়েছে। তারপরও যেসব জমিতে সমস্যা হয়েছে, সেটি মোকাবিলায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমনের সবুজ ক্ষেত এখন সিগাটোকা, নেক ব্লাস্ট ও পাতা মোড়ানো রোগে হলদে বিবর্ণ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মাজরা পোকা, গান্ধী পোকা ও নলী মাছির উপদ্রব।