|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ ||
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বোনা আমন ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক। ক্ষেতগুলোতে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ। মাঠে বোনা আমন দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে হাসি। আর কয়েক দিন পর পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে সবুজ ও হলুদ রংয়ে। ধানের গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো সোনারং ধানের ছড়াছড়ি। দফায় দফায় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও চলতি মৌসুমে বোনা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় চাষিরা বেশ খুশি। কৃষকরা জমি থেকে কয়েক দিন পর ধান কাটার জন্য ব্যস্ত সময় পার করবেন। চলতি মৌসুমে বোনা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল্ল দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজও চলছে।
উপজেলাকৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার চলতি মৌসুমে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নে ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোনা-আমন চাষ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বেশিরভাগ জমির রোপা আমন ধান অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। জৈনসার ইউনিয়নের বোনা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জৈনসার ইউনিয়নে কৃষক আওলাদ হোসেন বলেন, অন্যান্য জাতের তুলনায় বোনা আমন ধান ভালো ফলন হয়। এ জন্য বোনা আমন ধান রোপন করেছিলাম। এবার অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ধানের ক্ষতি করতে পারেনি। আমার ধান এবার ভালো হয়েছে।
কৃষক গনি বেপারী জানান, এবার আমাদের ইউনিয়নে বোনা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ ইউনিয়নে ধান ভালো হয়নি। যদি ধানের ভালো দাম পাওয়া যায় তবে কৃষকরা পরিবার নিয়ে খেয়ে পড়ে বাচবে।
জৈনসার ইউনিয়ন ব্লকের অতিরিক্তউপসহকারী কৃষি অফিসার মো.সাফায়েত হোসেন জানান, আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোনা আমন ধান ভালো হয়েছে। রোগ-বালাই ও পোকার উপদ্রব প্রতিরোধে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।