|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
আবারও বন্যায় পড়েছে কুড়িগ্রামের নদীপাড়ের মানুষ। ভারতে টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি। সবথেকে বেশী পানি বেড়েছে ধরলায়। বুধবার বিকেল থেকে ধরলার পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। অন্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার নীচেই রয়েছে।
৪র্থ দফা এই বন্যায় ধরলাপাড়ের ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে পানিতে তলিয়ে গেছে অন্ত ১০০ হেক্টর জমির আমন ধান।
পানি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে নদীভাঙ্গনও। সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে নতুন করে পানি ঢুকেছে অন্তত ১০টি গ্রামে। দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাসংলগ্ন উলিপুর উপজেলার থেথরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারের মানুষ। এখানে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের তিন মিটার নদীতে চলে গেছে। অস্তিত্ব হারিয়েছে অনেকের বাড়িঘর। ধরলার ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে সদর উপজেলার মোগলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়তে পারে। এরপর পানি কমবে। এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ধরলা নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। এতে করে আবারও বন্যায় পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ও ফসলের ক্ষেত। এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্যও বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।